বিমান অবশ্যই লাভজনক হবে : বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

জাতীয়

বিমান অবশ্যই লাভজনক হবে : বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৯ এপ্রিল, ২০১৯

বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, বিমানের কোনো সিট যাতে খালি না থাকে তার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।ইতোমধ্যে আমরা এর সুফল পাচ্ছি। গত কিছুদিন ধরে এখন আর বিমানের সিট খালি যাচ্ছে না। অন্য বিমান পরিবহণ সংস্থা যদি লাভ করতে পারে তবে বিমান কেন পারবে না? বিমান পরিচালনার দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করলে বিমান অবশ্যই লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ এর এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সদস্য হোসনে আরা, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্সি অফ বাংলাদেশ এর সভাপতি মোহাম্মদ মনজুর মুরশেদ, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম আরেফ এবং ইমরান আহমদ।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আমি বিমান পরিবহন ও পর্যটন খাতের বিভিন্ন বিষয় জানতে সব অংশীজনের সঙ্গে কথা বলেছি। এই খাতের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের চেষ্টা করছি। বিমানবন্দরের টার্মিনাল যাত্রীবান্ধব ও আধুনিকায়নের জন্য কাজ করছি।

বিমান পরিবহন খাতে মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা কাজ করছি, যোগ করেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, এই খাতের দীর্ঘদিনের অচলায়তন ভাঙ্গার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন খোঁজ নিলে জানা যাবে বিমানবন্দরে কোন যাত্রী আর হয়রানির শিকার হচ্ছেন না। বিমানবন্দরে যাত্রীবান্ধব পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ একটি লাভজনক এভিয়েশন বাজার। পৃথিবীর সব বিমান পরিবহন প্রতিষ্ঠান এখানে ফ্লাইট পরিচালনা করতে আগ্রহী। এখানে আমাদের লাভজনক না হওয়ার কোনো কারন নেই। জাতির পিতার হাতে গড়া জাতীয় পতাকা পতাকাবাহী বিমানকে লাভজনক করার জন্য আমাদেরকে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের সকল অংশীজন আমরা এই খাতের সকল সমস্যার সমাধান করবো। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। বিমানের কেউ যদি বিমানের স্বার্থ বিরোধী কাজে জড়িত থাকে তবে তাদের কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী দক্ষ মানবসম্প গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ এর কোন বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের যে সব কর্মী বিদেশ যান তাদের যদি ক্ষমতা থাকে তবে তারা সেখানে আরও ভালো কাজ পাবেন এবং তারে উপার্জন আরও বেশি হবে। 

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের নারীরা আজ সমাজের সকল ক্ষেত্রে সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে। তারা সকল ক্ষেত্রে প্রশংসার সঙ্গে অংশগ্রহণ করছেন এবং তারা তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, টাঙ্গুয়া হাওরের প্রকৃতি ও লোকায়ত সংস্কৃতি কে ঘিরে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কাজে লাগিয়ে আমাদের পর্যটন বিকাশ করা যায় । আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে, আমাদের সকল সম্পদ রয়েছে এখন শুধু সেগুলির সঠিক ব্যবহার এবং ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমানে দেশে বিনিয়োগ বিকাশ পরিবেশ বিরাজ করছে। দেশে ব্যবসার পরিবেশ, পর্যটন বিকাশের পরিবেশ বিরাজ করছে। আমাদের গ্রামে এখন সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। আমাদের প্রশংসা সারা পৃথিবীতে। আমাদের দেশকে গড়ে তোলার জন্য আমাদের দরকার সমন্বিত উদ্যোগ ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads