বিনা ভোটের সরকার বলেই এত ভয়

মাহমুদুর রহমান মান্না

সংরক্ষিত ছবি

রাজনীতি

মানববন্ধনে মান্না

বিনা ভোটের সরকার বলেই এত ভয়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ অগাস্ট, ২০১৮

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন একটি নিরাপদ আন্দোলন ছিল বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক চাই কোনো সরকারবিরোধী আন্দোলন ছিল না। সরকার পতনের এবং রাজনৈতিক কোনো আন্দোলন ছিল না। দেশের ১৬ কোটি মানুষই চায় সড়ক নিরাপদ হোক। কিন্তু বর্তমান সরকার বিনা ভোটের সরকার, তাই তারা সব সময় ভয়ে থাকে। তারা ভাবে এই বুঝি তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হলো। এ জন্য সরকার কিশোরদের আন্দোলনকে ভয় পেয়েছে এবং তাদের গ্রেফতার করে নির্যাতন করছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গতকাল শুক্রবার ভুক্তভোগী পরিবারের ব্যানারে গ্রেফতার ছাত্রদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন মান্না।

কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের অভিভাবক ও পরিবারের সদস্যরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারের প্রতি রাজনৈতিক নেতা, মানবাধিকারকর্মী, শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সংহতি জানান।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক আরো বলেন, বর্তমানে সালোয়ার-কামিজ পরে থাকলেই বিপদ, গ্র্রেফতার ক‌রে নি‌য়ে যা‌চ্ছে। প‌ত্রিকায় দেখলাম গতকাল এ রকম একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ রকম কত কামিজ পরা, প্যান্ট পরা ব্যক্তিকে মনে মনে ধরে রেখেছে রাস্তায় পেলেই ধরে নিয়ে যাবে তার কোনো ঠিক নেই।

এ সময় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কোমলমতি ছাত্রদের হাতে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া কোনো সভ্য সমাজের লক্ষণ নয়। মানুষকে কথা বলতে দিন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, মুখ বন্ধ সমাজের মা হবেন না। সব জায়গায় ভূত দেখা ছাড়েন। ভুল পথে চালিত হবেন না।

মানববন্ধনে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানের মা ঝিনাইদহের সালেহা বেগম ছেলের মুক্তি চেয়ে বলেন, আমার ছেলে কোনো অপরাধ করেনি। আমার সন্তানকে ছেড়ে দিন। তাকে ছাড়া আমি ঈদ করতে পারব না। ছেলের সঙ্গে ঈদ করতে দিন। ঈদের আগে রাশেদকে ছেড়ে দিন।

কোটা আন্দোলনের আরেক নেতা তারিকুল ইসলামের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করত। পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করতে পাঠিয়ে ছিলাম। আন্দোলন করে সে এখন কারাগারে। তিনি তারিকুলসহ কোটা আন্দোলনে গ্রেফতার হওয়া অন্য শিক্ষার্থীর মুক্তি দাবি করেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads