বিএনপির কাছে ৩ প্রশ্ন কাদেরের

আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদক মন্ডলীর এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

ছবি : সংগৃহীত

রাজনীতি

বিএনপির কাছে ৩ প্রশ্ন কাদেরের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

বিএনপির প্রতি দেশের জনগনের কোনো আস্থা নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপির কাছে তিন প্রশ্নের জবাব জানতে চেয়েছেন।

আজ শনিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদক মন্ডলীর এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব প্রশ্ন রাখেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির কাছে আমি তিনটি প্রশ্নের জবাব চাই। আমার প্রথম প্রশ্নটা হচ্ছে, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর, হত্যাকারীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করতে ইনডেমনিটির ক্যুখাত অধ্যাদেশ জারি এবং এর পর এই অধ্যাদেশকে ৫ম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কী ব্যখ্যা জাতির সামনে আছে বিএনপির। এটা আমি জানতে চাই। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এর ব্যাখ্যা আমি জানতে চাই। অধ্যাদেশে খুনিদের রক্ষা করতে আবার সেটাকে আইনি স্বীকৃতি দিতে আমাদের সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করা কোন যুক্তিতে, কেন? এর ব্যখ্যা আমরা বিএনপির কাছে জানতে চাই।’

‘দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, বিনা পয়সায় সাবমেরিন ক্যাবল প্রত্যাখ্যান করার মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দেওয়ার যে কাজটি তারা করেছেন এর ব্যাখ্যা?’

‘তৃতীয় প্রশ্ন হচ্ছে তড়িঘড়ি করে বেগম খালেদা জিয়ার রায়েরর আট দিন আগে বিএনপির গঠনতন্ত্র থেকে কেনো ৭ ধারা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এর ব্যখ্যা আমরা জানতে চাই।’

এছাড়া বিরোধী দল হিসেবে আন্দোলনে ব্যর্থতার দায় নিয়ে বিএনপির সকল নেতাকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলে, এমন বিরোধী দল বাংলাদেশের ইতিহাসে আর কখনো দেখা যায়নি। তারা গত ১০ বছরে ১০ মিনিটের জন্য আন্দোলন করতে পারেনি। এ ব্যর্থতার দায় নিয়ে তাদের নেতাদের পদত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বিএনপির মতো ব্যর্থ দল আর কোথাও নাই। তারা সবসময় সর্বাত্মক আন্দোলনের কথা বলে। কিন্তু তারা এমন কোনো আন্দোলন করতে পারেনি যার কারণে সরকার গত দশ বছরে দুই মিনিটের জন্য অস্বস্তিতে পড়েছে। তাই আমি বলবো এ ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে বিএনপির সকল নেতাদের পদত্যাগ করা উচিত।

এ সময় তিনি নির্বাচন সামনে রেখে জোট ভাঙা-গড়ার বিষয়টি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন। জোটের শরিকদের জন্য ৬৫ থেকে ৭০ টি আসন ছেড়ে দেয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে আওয়ামী লীগ বলে জানান তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি নেতাদের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে সরকারের কিছু নেই। এটা আদালতের বিষয়। লিগ্যাল ব্যাটেলে জয় লাভ করে তারা তাদের নেত্রীকে মুক্ত করে আনতে পারে। এক্ষেত্রে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।

আদালতকে প্রভাবিত করার যে অভিযোগ বিএনপি নেতারা করে আসছেন তার সেটি প্রত্যাখ্যান করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যদি সরকার আদালতকে প্রভাবিত করত তাহলে এখন পর্যন্ত ৩০ টি মামলায় তিনি কিভাবে জামিন পেলেন?

মওদুদ আহমেদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কাদের বলেন সংবিধান সম্মত না হলেও তিনি নাকি তাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মওদুদ সাহেব আপনারা সংবিধানকে পেছনে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন আপনাদের পক্ষে এটা বলা সম্ভব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads