দুই দেশের মধ্যে চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে অস্ট্রিয়ার সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার দ্বার উন্মুক্ত হলো। গত ১৭ মে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় এ চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল এবং অস্ট্রিয়ার পক্ষে দেশটির পরিবহনমন্ত্রী নরবার্ট হফার সই করেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন গতকাল মঙ্গলবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান। গত ১৫ মে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অস্ট্রিয়া যান। সোমবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন তারা।
মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, ১৬ মে ভিয়েনাতে একটি পর্যালোচনা সভা এবং দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মনোনীত বিমান সংস্থাগুলো সপ্তাহে ৭টি যাত্রী এবং ৭টি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশি কার্গো এয়ারলাইনসগুলো ইউরোপে সরাসরি কার্গো পরিবহনের ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে গেল।
অস্ট্রিয়াসহ এর পাশের দেশ ইতালি, জার্মানি, স্লোভাকিয়া, সুইজারল্যান্ড, হাঙ্গেরিতে প্রচুরসংখ্যক বাংলাদেশি বসবাস করেন। বাংলাদেশ ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হলে অস্ট্রিয়াসহ পাশের দেশগুলোয় বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য যাতায়াত সহজ হবে। এ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে এএসএ স্বাক্ষরিত দেশের সংখ্যা ৫৩-তে দাঁড়াল।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি অ্যান্ড রেগুলেশন্স) উইং কমান্ডার চৌধুরী এম জিয়াউল কবির জানান, অস্ট্রিয়ার সঙ্গে এর আগে আকাশপথে বাংলাদেশের কোনো ধরনের চুক্তি ছিল না। এ কারণে দেশটির সঙ্গে এএসএ চুক্তিটি একেবারে নতুন। দুই দেশের কয়েকটি এয়ারলাইনস সরাসরি কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রাথমিকভাবে চুক্তিতে সর্বনিম্ন ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দ করা হয়েছে, যা পরে চাহিদার ভিত্তিতে বাড়ানো যেতে পারে।