বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট

ছবি: ইন্টারনেট

তথ্যপ্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ১০ মে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৮ মে, ২০১৮

দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ মে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এ কথা জানিয়েছেন।

সাংবাদিকদের তিনি জানান, ১০ মে স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় ১১ মে রাত ২টা) ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস স্টেশন থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হবে। এর আগে কয়েক দফায় উৎক্ষেপণের সময় পেছানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কারিগরি সমস্যার কারণে উৎক্ষেপণ পেছানো হয়েছে, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই। অতীতে এমনও দেখা গেছে যে, লঞ্চপ্যাডে কাউন্টডাউন থেকে উৎক্ষেপণ থেমে গেছে।’

এর আগে ৪ মে স্যাটেলাইটটির উৎক্ষেপণকে সামনে রেখে কেনেডি স্পেস সেন্টারের ৩৯এ কমপ্লেক্সে ফ্যালকন ৯ রকেটের ব্লক ৫ ভ্যারিয়েন্টের স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সম্পন্ন করেছে মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স। মূলত স্পেসএক্সের এই রকেটে করেই মহাকাশে পাড়ি জমাবে বঙ্গবন্ধু-১। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, স্ট্যাটিক ফায়ার টেস্ট সফলভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। উৎক্ষেপণের জন্য তাদের রকেটটিও সম্পূর্ণ প্রস্তুত আছে।

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকে সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে দুটি গ্রাউন্ড স্টেশন। এর একটি স্থাপন করা হয়েছে গাজীপুরের জয়দেবপুরে এবং অপরটি রাঙামাটির বেতবুনিয়ায়। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে যোগাযোগ স্থাপন করতে আট থেকে দশ দিন সময় লাগতে পারে বলেও জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।

মূলত বছরের ১৬ ডিসেম্বর স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের কথা থাকলেও আবহাওয়াজনিত সমস্যার কারণে কয়েক দফা পিছিয়ে চলতি মাসের ৪ তারিখ উৎক্ষেপণের সম্ভাব্য দিন নির্ধারণ করা হয়। তবে ৪ মে থেকে পিছিয়ে ৭ মে পরবর্তী সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল বলে মাসের শেষেরদিকে জানান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। কিন্তু সেটিও পিছিয়ে সর্বশেষ ১০ মে নির্ধারণ করা হলো।

স্যাটেলাইটটিতে মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকছে। এর মধ্যে ২০টি নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হবে। বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দেওয়া হবে অন্যান্য দেশের কাছে। এ প্রকল্পে সরকারের ব্যয় হচ্ছে ২ হাজার ৯০০ কোটি টাকারও বেশি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads