জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের চেয়ে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগকর্মী নূরুল হকের কৃতিত্ব বেশি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইলে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের আয়োজিত আলোচনা সভা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতার ডাক দেয়া কিংবদন্তি ভাষণের ওপর চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন,, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা অনেক মানুষ দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করেছেন। ২৫ শে মার্চ রাতে ঢাকাসহ যেখানে যেখানে পাকবাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালায়, চট্টগ্রামও তার মধ্যে অন্যতম। সেই বিভীষিকাময় রাতের পরদিন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী নূরুল হক শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার করেন। জিয়াউর রহমান চার দেয়ালের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষী পরিবেষ্টিত অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা পাঠ করেন, আর নূরুল হক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাইকিং করে তা প্রচার করেন। এজন্য বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারে জিয়ার চেয়ে চট্টগ্রামের নূরুল হকের কৃতিত্ব বেশি।'
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন,, ‘বিএনপি ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা করলেও বিশ্বব্যাপী আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লিপিবদ্ধ। জিয়াউর রহমান তার জীবদ্দশায় কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি। ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ঘোষণা তিনি ২৭ শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর পক্ষে পাঠ করেন। আর আমাদের স্বাধীনতা দিবস ২৬ শে মার্চ।’
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুতির ডাক হিসেবে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার এ ভাষণের মধ্য দিয়েই বাঙালির স্বাধীনতার আন্দোলন চূড়ান্ত সংগ্রামের দিকে এগিয়ে যায়।’