নতুন বছরে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে একই নাটকে অভিনয় করলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত দুই অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী ও জাকিয়া বারী মম। ‘বক্কর এখন ব্যাংকার’ নাটকে তারা দুজন অভিনয় করেছেন। নাটকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী আর একজন পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জাকিয়া বারী মম। গেল ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর উত্তরার একটি শুটিং হাউজে নাটকটির দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে।
নাটকটি প্রসঙ্গে পরিচালক সকাল আহমেদ বলেন, ‘চঞ্চল চৌধুরী এবং মম দুজনই অসাধারণ অভিনয়শিল্পী। দুজন যখন একসঙ্গে অভিনয় করেন তখন দৃশ্যটিই যেন প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। গেল ঈদে তারা দুজন আমার নির্দেশনায় অভিনয় করেছিলেন। আবারো তারা দুজন অভিনয় করলেন। বক্কর চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী। একজন সহজ সরল মানুষ। যিনি সব সময়ই সততার কাছে ঠিক থাকেন। তাকে ঘিরেই মূলত নাটকের গল্প আবর্তিত হয়। আমি খুব আশাবাদী নাটকটি নিয়ে।’
জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘সত্যি বলতে কি, আমি এখন গল্পনির্ভর নাটকের প্রতি অধিক মনোযোগ দেবার চেষ্টা করছি। কারণ দর্শক এখন নাটকে নিজেদের জীবনের গল্প, পরিবারের গল্প খুঁজে বেড়ায়। আর ইউটিউব প্ল্যাটফরমের কারণে নাটক এখন দেশের বাইরের বাংলা ভাষাভাষীরা উপভোগ করেন। তাদের কথা ভেবেও ভালো গল্পের নাটক নির্মাণ করতে হবে। এর আগেও সকাল ভাইয়ের নির্দেশনায় অভিনয় করেছি। বক্কর এখন ব্যাংকার নাটকের গল্পটা ভালো। আমি যথারীতি আমার চরিত্রটি ভালোভাবেই ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আশা করছি দর্শকের ভালো লাগবে।’
এ নাটকটি রচনা করেছেন মিজানুর রহমান বেলাল। নাটকটি রোজার ঈদে আরটিভিতে প্রচার হবে। চঞ্চল ও মমকে এর আগে সর্বশেষ গেল ঈদে এস এ হক অলিকের ‘স্যরি বলো’, সকাল আহমেদের ‘ব্যক্তিত্ব বাবুল’ এবং রতন হাসানের ‘নব্বই দিন’ নাটকে অভিনয় করে বেশ সাড়া পেয়েছেন। মম এরই মধ্যে শেষ করেছেন সেখানে তিনি সামির খানের নির্দেশনায় প্রথম হিন্দি সিনেমা ‘ম্যাক্ম কী গান’ সিনেমার কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত নয় থেকে দশ বছরের কম বয়সি শিশুকে হাম ও রুবেলার টিকা দিতে হবে। এই বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর জন্য ইউনিসেফ’র এই কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী হয়ে ইউনিসেফ এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে। এরই মধ্যে এই জনসচেতনতামূলক কাজটির নির্মাণে অংশ নিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। এটি নির্মাণ করেছেন ‘হাসিনা-এ ডটার’স টেইল’খ্যাত নির্মাতা পিপলু।
শিশুদের জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে এই কাজে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘আমি আসলে সব সময়ই জনসচেতনতামূলক কাজ করার চেষ্টা করি। কিছুদিন আগেও নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ সচেতসতামূলক একটি কাজ করেছি। এটি নির্মাণ করেছিলেন আমাদের শ্রদ্ধেয় আফজাল হোসেন ভাই। এবার শিশুদের সচেতনতার জন্য কাজ করেছি। আমিও একজন সন্তানের বাবা। আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ সুস্থতার জন্য যেমন আমি সচেতন, আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্যও আমি সচেতন। তাই শিশুদের অভিভাবকদের সচেতন করতেই আমি এই সচেতনতামূলক কাজে অংশগ্রহণ করেছি। আর পিপলুর সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। কাজটি করে আমার খুবই ভালো লেগেছে।’





