১৯৩০ সাল থেকে বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হলেও ইতিহাসে এবারই প্রথম ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) ব্যবহার হয়েছে। গতকাল রাশিয়া বিশ্বকাপে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যকার জমজমাট ফাইনালেও এর ব্যবহার লক্ষ করা গেছে।
ম্যাচের ২৮ মিনিটে ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরানো পেরিসিচ ‘খলনায়ক’ হয়ে যান ৩৪ মিনিটের সময়। গ্রিজমানের কর্নার গোলমুখের সামনে স্যামুয়েল উমতিতি হেড নিতে পারেননি। তবে বল বক্সের মধ্যে দাঁড়ানো পেরিসিচের হাতে লাগে। কোনো সিদ্ধান্ত নেননি আর্জেন্টাইন রেফারি নেস্তর পিতানা। ফরাসি খেলোয়াড়দের আবেদনে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তা নেন তিনি। মাঠের বাইরে বার বার রিপ্লে দেখার পর পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি কিক নেন গ্রিজমান। তার বাঁ-পায়ের নিচু শট ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার সুবাসিচ বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকাতে যান, কিন্তু বল জালে ঢোকে ডান-দিক দিয়ে।
প্রথম ২০টি বিশ্বকাপে ভিএআর ব্যবহার না হলেও ২১তম আসরে এর প্রয়োগ বেশ ভালোভাবেই সফল হয়েছে। যদিও এই ভিএআর নিয়ে কিছু বিতর্কও উঠেছে। তারপরও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভিএআর প্রশংসা পেয়েছে।





