সৌদি আরবের মতো রক্ষণশীল সমাজে এই প্রথম নারীদের সাইক্লিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।প্রতিযোতায় ৪৭ জন নারী অংশ গ্রহণ করেন।জেদ্দা শহরে দশ কিলোমিটার রাস্তায় এ সাইক্লিং প্রতিযোগিতা হয়।শহরের রাস্তায় নারীদের সাইকেল চালানোর এই প্রতিযোগিতা হওয়ার পর থেকেই তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে।
প্রতিযোগিতার আয়োজক নাদিমা আবু আল এনিম স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সৌদি আরবের মতো রক্ষণশীল দেশে প্রথমবারের এই আয়োজনে এত সংখ্যক নারী অংশ নিয়েছেন, যেটা তাদেরকে আশ্চর্য করেছে।’
প্রতিযোগিতার আয়োজক নাদিমা আবু আল এনিন
বি অ্যাকটিভ নামের একটি সংগঠন জেদ্দার স্থানীয় প্রশাসনের সাথে মিলে যৌথভাবে নারীদের এই সাইক্লিং রেইস বা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল।
সৌদি সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় এতো বড় আয়োজন করতে পেরেছেন বলে মনে করেন আয়োজকরা।
উল্লেখ্য, এক বছর আগেই নাদিমা আবু আল এনিম নারীদের জন্য একটি বাইসাইকেল ক্লাব গঠন করেন।এ সংগঠনের কাজ নারীদের সাইকেল চালানোর পক্ষে সচেতনতা সৃষ্টি করা।অনেক নারী এই ক্লাবে সাইক্লিং করতে আসেন। কিন্তু তাদের সাথে পুরুষ অভিভাবকরাও আসেন।
প্রথমদিকে সাইক্লিং এর জন্য পোশাক নিয়েও সমস্যা হতো।এই ক্লাবের মাধ্যমে একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
তবে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে রাস্তায় সাইক্লিং প্রতিযোগিতা হওয়ার পর সামাজিক নেটওয়ার্কে এর পক্ষে বিপক্ষে নানান আলোচনা হচ্ছে।
সামাজিক বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে একদিকে যেমন এই আয়োজনের প্রশংসা ও সমর্থন জানিয়েছেন অনেকে আবার এর বিপক্ষে তীব্র সমালোচনাও চলছে।
একজন টুইটারে টুইট করে বলেন, "আমি ধর্মগুরু নই। কিন্তু আমি মনে করি, একজন নারীর শরিরের আকষর্ণীয় অংশগুলো পুরুষদের দেখিয়ে সাইকেল চালানো ঠিক হয়নি। তাদের এটি প্রকাশ্যে করা উচিত হয়নি।"
আরেকজন টুইট করেছেন, "নারীদের খেলাধূলা করা প্রয়োজন। কিন্তু সেটা পুরুষদের সামনে করা ঠিক নয়।"
তবে আয়োজকরা তাদের এ ধরণের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার কথা বলছেন।