পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে সৌহার্দ্য বজায় রাখার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার গণভবনে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, নিশ্চিত করুন যে পাহাড়ে শান্তি বজায় থাকবে, আমরা তা চাই। সবার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখা আবশ্যক। এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়- কে পাহাড়ি, কে বাঙালি।
গণভবনের ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরিশাল ও বান্দরবান জেলার সঙ্গে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। সে সময় তিনি এসব কথা বলেন। সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একদিন বাংলাদেশ বিশ্বে একটি উন্নত দেশ হিসেবে স্থান করে নিতে সক্ষম হবে। কেননা লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা কখনো ব্যর্থ হতে পারে না। সমাজের সর্বস্তরে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পাহাড়ি ও বাঙালি সবাই মানুষ এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার আছে। মানুষের এই মৌলিক অধিকার পূরণ করতে হবে আমাদের। দেশের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার প্রসারে আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কে পাহাড়ি, কে বাঙালি এটা আমাদের কাছে কোনো বিবেচ্য নয়, আমরা প্রত্যেকের শিক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় সব স্কুলে ‘মিড ডে মিলের’ ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার হার শতভাগে উন্নীত হওয়া জরুরি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামীতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশের আরো অনেক সোনার ছেলের প্রয়োজন রয়েছে। দেশের শিক্ষা খাতের উন্নয়নে তার সরকারের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত বৃত্তি-উপবৃত্তি প্রদান করছে। অনুষ্ঠানে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়ার পর ১০টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পৃথকভাবে স্ব-স্ব বোর্ডের ফলের অনুলিপি তার কাছে হস্তান্তর করেন। শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগ সংক্রান্ত প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।