এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ এগিয়ে আছে ঢাকা বোর্ড

ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষা

পাসের হারে এগিয়ে বরিশাল, জিপিএ-৫ এ ঢাকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ জুলাই, ২০১৮

চলতি বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি পাস করেছে বরিশাল বোর্ডে। চলতি বছরে এ বোর্ডে ৭০ দশমিক ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর জিপিএ-৫ এ এগিয়ে আছে ঢাকা বোর্ডে।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ৭০ দশমিক ৫৫ শতাংশ পাসের হার নিয়ে আট সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বরিশাল বোর্ড। আর কুমিল্লা বোর্ডের ৬০ দশমিক ২১ শতাংশ পাসের হার সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম।

৬৬ দশমিক ৫১ শতাংশ পাসের হার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজশাহী বোর্ড। আর তৃতীয় অবস্থান ঢাকা বোর্ডের। এ বোর্ডে ৬৬ দশমিক ১৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। 

এদিকে, জিপিএ-৫ এগিয়ে আছে ঢাকা বোর্ড। এ বোর্ডে মোট ১২ হাজার ৯৩৮ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

জিপিএ-৫ এর দিক থেকে ঢাকা বোর্ডের পরেই অবস্থান রাজশাহী বোর্ডের। এ বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ১৩৮ জন।

সারা দেশে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পাসের হার শতকরা ৬৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। যা গতবারের চেয়ে ২ দশমিক ২৭ শতাংশ কম।

এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। যার মধ্যে ৬ লাখ ৮০ হাজার ৮৮৪ জন ছাত্রী ছিল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৯৪৫টি।

এর মধ্যে পাস করেছে ৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০১ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন, শতভাগ পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪০০টি এবং কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি ৫৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।

এইচএসসি’তে আটটি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৬৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে ৭৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে ৭৫ দশমিক ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে শিক্ষাবোর্ডগুলোর ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

দুপুর ১টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবারের মতো এবারও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট থেকে ফল জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা। মোবাইল ফোনেও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। প্রথা অনুযায়ী, সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেবেন।

সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (www.educationboard.gov.bd) থেকে ফল জানতে পারবে। বোর্ড থেকে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ই-মেইলে কেন্দ্র ও প্রতিষ্ঠানের ফলের সফট কপি সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে সংশ্নিষ্ট জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ফলের হার্ডকপি সংগ্রহ করতে পারবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের ইআইআইএন ব্যবহার করে বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে ফলের কপি ডাউনলোড করতে পারবে।

২ এপ্রিল থেকে ১৫ মে পর্যন্ত সারাদেশে এইচএসসির তত্ত্বীয় এবং ১৬ থেকে ২৫ মে ব্যবহারিক পরীক্ষা হয়। এবার ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads