রংপুর জেলার পদাগঞ্জ আমের জন্য বিখ্যাত। হাঁড়িভাঙ্গাসহ অন্য সব আমের কল্যাণে মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ হাট দেশব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে। বড়পুকুরিয়া ও মধ্যপাড়া আমচাষের সম্ভাবনাময় এলাকা বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। আম কিনতে আসা আমজাদ হোসেন বলেন, গ্রামাঞ্চলে প্রতিটি হাটবাজারে বিভিন্ন প্রজাতির আঁটি আম ১২ থেকে ১৫ টাকা এবং হাঁড়িভাঙ্গা, ন্যাংড়া জাতীয় সুমিষ্ট আম সর্বত্র ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে পার্বতীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু ফাত্তাহ মো. রওশন কবির জানান, উপজেলার ১০ ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে আমচাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৫৩০ হেক্টর জমিতে বাগানভিত্তিক ও ৮৯৫ হেক্টর বসতবাড়িতে। উৎপাদন ধরা হয়েছে বাগানে ৯ হাজার ৯৬৪ টন ও বসতবাড়িতে ১৬ হাজার ১১০ টন। তার মধ্যে আম্রপালি হয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমিতে, হাঁড়িভাঙ্গা ৮৮৫ হেক্টরে, ফজলি ৬০ হেক্টরে, গোপালভোগ ৪৮ হেক্টরে এবং ন্যাংড়া ৮২ হেক্টরে। গড়ে ফলন হয়েছে হেক্টরপ্রতি ১৮ দশমিক ৩০ টন। এবার আম পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পদাগঞ্জ হাটে হাঁড়িভাঙ্গা ১ হাজার টাকা, ন্যাংড়া ১ হাজার টাকা, মিছিরিভোগ, রাজভোগ ও গোপালভোগ ৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য জাতের আম ৭০০ থেকে ৮০০ টকা মণে কেনাবেচা হচ্ছে। আম বিক্রেতা মো. ফজলু (৪৫) বলেন, এবার ঝড়-বৃষ্টি না হওয়ায় আমের উৎপাদন হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ। পদাগঞ্জ হাট থেকে এখন প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক আম ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। আম বিক্রেতা শহিদুল (৩০) বলেন, ‘হামরা বদরগঞ্জ থাকি আম কেনো (ক্রয় করি)।’ এসব আম বিক্রেতার মতে, আমের দাম কম থাকলেও বাগান ব্যবসায়ী বা মালিকদের ক্ষতি হবে না। কারণ ফলন হয়েছে দ্বিগুণের বেশি।