১জি
১৯৭৯ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক ছিল এনালগ সেলুলার প্রযুক্তিভিত্তিক। পরবর্তীকালে একে অভিহিত করা হয় প্রথম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক বা ১জি হিসেবে। এ নেটওয়ার্কে ডাটা ট্রান্সফার রেট ছিল সেকেন্ডে ২ কিলোবিট পর্যন্ত। সে সময় ছিল বড় আকারের মোবাইল ফোন, যা শুধু সাধারণ ভয়েস কল করার জন্য ব্যবহার হতো।
২জি
জিএসএম স্ট্যান্ডার্ড ব্যবহার করে ১৯৯১ সালে টুজি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু হয় ফিনল্যান্ডে। টুজি নেটওয়ার্কে ব্যবহার হয়েছিল ডিজিটাল সেলুলার প্রযুক্তি। এ নেটওয়ার্কে ডাটা ট্রান্সফার রেট ছিল ৬৪ কিলোবিট পার সেকেন্ড। টুজি নেটওয়ার্কেই প্রথম এসএমএস পাঠানোর সুবিধা হয়।
৩জি
অন্তর্বর্তীকালীন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি হিসেবে এ বছর চালু হয় ২.৫জি, যা সেলুলার নেটওয়ার্কে জিপিআরএস সুবিধা চালু করে। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সেলুলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ই-মেইল আদান-প্রদানের সুবিধা চালু হয়। একই বছর এনটিটি ডকোমো জাপানে থ্রিজি নেটওয়ার্ক চালু করে। এ নেটওয়ার্কে ডাটা ট্রান্সফার রেট ছিল ২ মেগাবিট পার সেকেন্ড। ২০০২ সালে নকিয়া বাজারে আনে প্রথম ক্যামেরা ফোন নকিয়া ৭৫৬০। ২.৫জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এ ফোনে ছবি আদান-প্রদান করার সুবিধাও ছিল। ২০০৭ সালে অ্যাপল বাজারে আনে প্রথম আইফোন। তবে এ ফোনটিতে থ্রিজি সুবিধা ছিল না। এতে ছিল টুজি গতির এজ ইন্টারনেট প্রযুক্তি। এজ মূলত জিপিআরএসের পরবর্তী সংস্করণ ছিল।
৪জি
ভয়েস কলের পরিবর্তে ডাটাকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা প্রথম নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি হলো ফোরজি বা এলটিই। প্রতি সেকেন্ডে ১ গিগাবিট পর্যন্ত তথ্য আদান-প্রদানের সক্ষমতা রয়েছে এ নেটওয়ার্কে।
৫জি
সাধারণ ব্যবহারকারীর তুলনায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাণিজ্যিক ব্যবহারকে মাথায় রেখে ফাইভজি প্রযুক্তির নেটওয়ার্ক ডিজাইন করা হয়েছে। স্মার্ট সিটি, আইওটিসহ বড় বড় প্রয়োগ সম্ভব হবে এ নেটওয়ার্কে। ২০১৮ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০১৯ সালের শুরুর দিকে বাণিজ্যিকভাবে চালু হতে পারে ফাইভজি নেটওয়ার্ক।