ব্রাজিলের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ফার্নান্দো দ্য নরোনায় দীর্ঘ ১২ বছর পর প্রথম কোনো শিশু জন্ম নিয়েছে। এতদিন ওই দ্বীপে সন্তান জন্মদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল। গত শনিবার ওই দ্বীপে এক মহিলা একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। খবর দ্য গার্ডিয়ান।
তবে যে নারী সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তার নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। ওই মহিলা গর্ভধারণের বিষয়টি জানতেন না বলে জানিয়েছে পরিবারের লোকজন। ছোট্ট এ দ্বীপটিতে ৩ হাজার জনগোষ্ঠীর বসবাস। দ্বীপটি বন্যপ্রাণীদের সংরক্ষণের জন্য বিখ্যাত। দ্বীপটিতে প্রসূতি মায়ের সেবা-যত্নের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে সন্তান জন্ম দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়। এই দ্বীপের কোনো মহিলা সন্তানসম্ভবা হলে তাকে মূল ভূখণ্ডে চলে যেতে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই নারী জানান, তার আরেকটি সন্তান রয়েছে। ওর জন্ম মেইনল্যান্ডে হয়েছিল। তবে সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তানের গর্ভধারণের বিষয়টি তিনি আগে থেকে বুঝতে পারেননি। গত শুক্রবার রাতে আমি হঠাৎ খুব ব্যথা অনুভব করি। এরপর আমি বাথরুমে যাই। সেখানেই আচমকা আমার গর্ভপাত হয়। তখন আমার স্বামী এসে আমাকে উদ্ধার করে। মেঝে থেকে শিশুটিকে কোলে নিয়ে দেখে এটি একটি কন্যা শিশু। তাকে দেখে আমি পুরোই নির্বাক হয়ে গিয়েছিলাম। শিশুটিকে সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে এক যুগ পর শিশুর জন্মে আনন্দে আত্মহারা দ্বীপবাসী। শিশুটিকে ঘিরে রীতিমতো উৎসব চলছে। দ্বীপের বাসিন্দারা উপহার সামগ্রী নিয়ে শিশুটিকে দেখতে আসছে। শুধু সেরা সমুদ্র সৈকতই না ব্রাজিলেরই ন্যাশনাল মেরিটাইম পার্কের অধীনে দ্বীপটি সমুদ্রপ্রাণী সংরক্ষণের জন্যও বিখ্যাত। বিরল প্রজাতির সামুদ্রিক কচ্ছপ, ডলফিন, তিমি মাছ ও সামুদ্রিক পাখির বিশাল সমাহার রয়েছে দ্বীপটিতে। মূল্যবান সামুদ্রিক প্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্যই সেখানে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেয় সরকার।