নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের হেলমেট বাহিনীর হামলায় অগ্নিসংযোগসহ অন্তত ৫০টি বসতঘর ও দোকান ভাংচুর করা হয়েছে। এতে যুবলীগ নেতাসহ আহত হয়েছে চার জন। গত রোববার রাতে উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের বেতাগাঁও গ্রাম ও ইলকশান বাজার এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে মৌকরা গ্রামের যুবলীগ নেতা শরীফুল ইসলাম ও বেতাগাঁও গ্রামের সৈয়দ আহাম্মদ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এলকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মৌকারা ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল যুবলীগের কর্মী রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের বেতাগাঁও গ্রামে গিয়ে রোববার সন্ধ্যায় ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। এতে বিএনপি নেতাকর্মীরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা শরীফুল ইসলামসহ দুজন আহত হন। এর জের ধরে হেলমেট পরিহিত একদল দুর্বৃত্ত সন্ধ্যার দিকে বেতাগাঁও গ্রামে তান্ডব চালিয়ে ২০টি বাড়ী ঘর ভাংচুর, তিন দোকান ও তিনটি সিএনজি, ২টি মটর সাইকেল ও ১০ টি খড়ের চিনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
চুনা বেপারী শফিক ও জালালের বাড়ি ও দোকানে আগুন দেন। সেই সঙ্গে জালালের ভাতিজা শাহীনের ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এ সময় মাওলানা ইব্রাহিম, শাহীন, বাহারাইন প্রবাসী রহিম, ইউছুপ, সামছুল হক, আ.লীগ নেতা আব্দুল কাদির, দুবাই প্রবাসী মজু, হাজি সফিকুর রহমান, বাচ্চু ডাক্তার, আব্দুল, মমিন ও শুক্করি বেগম নামের এক ভিখারিনির বাড়ি ও একটি মসজিদের জানালাসহ ৫০টি বাড়ী ঘর ভাঙচুর করা হয়। পরে ইলেকশান বাজারে দুলালের কনফেকশনারী দোকান, সুমনের ফল দোকানে ভাঙচুর চালায় হেলমেট পরিহিত দূর্বৃত্তরা।
নাম না প্রকাশ না করা শর্তে অনেকে জানান, ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ঘটে। এতে যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম আহত হয়। পরে ক্ষমতাসীন দলের হেলমেট বাহিনীর এসে অগ্নিসংযোগসহ অন্তত ৫০টি বসতঘর ও দোকান ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি নজরুল ইসলাম পিপিএম জানান, ‘প্রথমে বিএনপির নেতকর্মীরা যুবলীগ নেতা শরিফুল ইসলামের উপর হামলা করে গুরতর আহত করে। পরে আ’লীগ নেতকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে’।