এম এ রাজ্জাক, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁ'র মান্দা উপজেলার আড়তগুলোতে বেড়েছে নতুন ধানের আমদানি। তবে বাজারে ক্রেতার সংকট বলে জানিয়েছেন ধান বিক্রি করতে আসা ব্যবসায়ীরা। চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার নতুন ধান কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে স্থানীয় পাইকাররা চৌবাড়িয়া আড়তগুলোতে বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন।
সোমবার (১৯ডিসেম্বর) দুপুরে চৌবাড়িয়া হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, গরু হাটির পাশে স্তূপে স্তূপে সাজানো আছে হাজার হাজার বস্তা নতুন আমন ধান। এসব ধান মাপা থেকে শুরু করে বস্তা প্যাকেট করায় ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকসহ আড়ত মালিকরা।
স্থানীয় আড়ত মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবছর ২২, ৪৯, ৩৯ জাতের আমন ধানের বেশি আমদানি হয়েছে। প্রতি মণ চিকন ধান ১১২০-১১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা ধান প্রতি মণ ৮৫০-৮৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব আমন ধান মান্দা, নিয়ামতপুর, ছাতমা রাজশাহী'র তানোর, মোহনপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য ভুটভুটি ও ভ্যানে করে চৌবাড়িয়া হাটের আড়তে আনা হয়েছে।
এক হাজার বস্তা আমন ধান বিক্রির জন্য নিয়ে চৌবাড়িয়া হাটে নিয়ে আনেন ব্যাপারী গোলবর উদ্দিন। তিনি বলেন, কৃষকরা তাদের জমির ধান কাটার পর বিক্রি করে দেন। বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে এসব ধান সংগ্রহ করে চৌবাড়িয়া হাটের আড়তে বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছি।
গোলবর আরও বলেন, সরকারি দাম নির্ধারণ না হওয়ায় চালকল মালিকরা ধান কিনছেন না। তারা দাম নির্ধারণের পর নতুন ধান কিনবেন বলে জানাচ্ছেন।
মান্দা উপজেলার চৌবাড়িয়া হাটে আড়ত মালিক আলতাজ হোসেন বলেন, এবছর প্রচুর পরিমাণে আমন ধানের সরবরাহ রয়েছে। তবে এখনো সরকার আমন ধানের দর নির্ধারণ করেনি। যে কারণে বাজারে ক্রেতা কম। সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করার পর ক্রেতা বাড়বে।
তিনি বলেন, বর্তমানে বাজারে ২২ ও ৪৯ প্রতি মণ ভেজা ধান ১১১০-১১২০ টাকা দরে এবং শুকনা ধান ১১৫০-১১৬০ টাকা দরে বেচাকেনা চলছে।
মেসার্স আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ আড়তের কর্মচারী নজরুল ইসলাম বলেন, আমন ধান কাটা শুরু হয়েছে। তাই আড়তে ধানের আমদানি বেড়েছে। বাজারে দাম ভালো থাকায় সংরক্ষণ না করে কাঁচা ধানই বিক্রি করছেন কৃষকরা।
এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মান্দা আড়তে আমন ধান আসছে। পাইকাররা তাদের সংগ্রহ করা ধান যাতে ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারেন সেদিকে প্রশাসনের নজরদারি রয়েছে। তবে সরকারিভাবে এখনো আমন ধানের দাম নির্ধারণ হয়নি। খুব দ্রুত সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করবে।