• রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫ | ১৬ চৈত্র ১৪৩১ | ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬
ধনবাড়ীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলাচাষ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

কৃষি অর্থনীতি

ধনবাড়ীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলাচাষ

  • মো. ইউনুস আলী, ধনবাড়ী (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

ধনবাড়ীতে বর্তমানে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কলার চাষ। ‘কলা রুয়ে না কেটো পাত, তাতেই কাপড় তাতেই ভাত’ খনার বচনটি ভালোই আত্মস্থ করেছেন এখানকার কলা চাষিরা। তাদের পরিবারে কেবল ভাত কাপড়ের ব্যবস্থাই নয়। কলা চাষ করে শুধু দুঃখই ঘোচাননি, পারিবার-পরিজন নিয়ে ভালোভাবেই চলতে পারছেন তারা। আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় কলা চাষের দিকে দিনদিন আগ্রহ বেড়েছে কলাচাষিদের।

কলাচাষিরা জানান, কলা চাষ করে অন্যান্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভবান হওয়া যায়। কলা চাষে প্রথম অবস্থায় সঙ্গী ফসল হিসাবে মসলা জাতীয় ফসল, সবজি, ধানসহ অন্যান্য ফসলও আবাদ করা যায়। কলা চারা গাছ লাগানোর অল্প দিনের মধ্যে বেড়ে উঠে ও দ্রুত ফল পাওয়া যায়। বৈশাখ মাসে কলা চারা রোপন করলে অগ্রহায়ণ মাস থেকে ফলন পাওয়া যায়। যে সব জমিতে পানি জমে না, সে সব জমিতে কলা চাষ ভালো হয়। এক বিঘা জমিতে কলা চাষের জন্য জাতভেদে আড়াই শত থেকে সাড়ে তিনশত কলা চারা রোপণ করা যায়। একটি কলা গাছ ২ থেকে আড়াই মণ পর্যন্ত কলা দিতে পারে। এক বিঘা জমিতে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হলেও তিন-চারগুণ টাকার কলা বিক্রি করা যায়। একবার কলা চারা রোপণ করলে একটানা তিন বছর ভালোভাবে ফলন দিতে পারে। যা অন্য কোনো ফসলে সম্ভব হয় না। এখানকার কলা ভালোমান হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে কলাচাষিদের কাছ থেকে সরাসরি কলা ক্রয় করে ঢাকা, সিলেট, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা, বরিশালসহ দেশের বিভিন্নস্থানে নিয়ে তারা বিক্রি করে।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বাণাজ্যিক ভিত্তিতে অনুপম, চাঁপা, মহেরে সাগর, মানকিসহ বিভিন্ন জাতের কলার চাষ করা হয়েছে। এসব জাতের কলা গাছ থেকে অল্প দিনেই ফল পাওয়া যায়। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার ৭০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। কলা চাষে লাভবান হওয়ায় কলা চাষি ও কৃষকরা কলাচাষের দিকে আগ্রহ বেড়েই চলছে। কলা চাষে তেমন কোনো ঝামেলা না থাকার কারণে স্থানীয়রা কলা চাষ করেছে। কলা চাষের জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কলাচাষিদের নানা ধরনের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads