দ্বিতীয় দিনে বৈধ ৭৮, বাতিল ৬৫

দ্বিতীয় দিনে বৈধ ৭৮ প্রার্থী

বাংলাদেশের খবর

আইন-আদালত

দ্বিতীয় দিনে বৈধ ৭৮ প্রার্থী

বাতিল ৬৫, স্থগিত ৭

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

ক্রেডিট কার্ডের ঋণখেলাপির দায়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া হাবিগঞ্জ-১ আসনের যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী রেজা কিবরিয়াকে বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বরিশাল-২ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন জাতীয় পার্টি প্রেসিডিয়াম সদস্য চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা। আর প্রার্থী শূন্য থাকা ঢাকা-১ আসনে বিএনপির আশফাকের পর মনোনয়নপত্রের বৈধতা পেয়েছেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ফাহিমা হুসাইন জুবলীও। তবে দলের মহাসচিব পদের মতো মনোনয়নপত্রের বৈধতারও শেষ রক্ষা হলো না জাতীয় পার্টির নেতা রুহুল আমিন হাওলাদারের। অন্যদিকে চট্টগ্রাম থেকে ফকা চৌধুরী পরিবারের একমাত্র প্রার্থীর সামির কাদের চৌধুরীও বাদ পড়লেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে। আপিলেও প্রার্থিতা রক্ষা হয়নি গণজাগরণ মঞ্চের আলোচিত মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারের। কুড়িগ্রাম-৪ আসনে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেওয়া রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে ইসি। গতকাল শুক্রবার বাছাই পর্বে মনোনয়নপত্র বাদ পড়া প্রার্থীদের করা আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষ হয়েছে।

আজ শনিবার আপিল আবেদনের ৩১১ থেকে ৫৪৩ পর্যন্ত শুনানি গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন। আর আজকের শুনানিতেই একাদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থিতা হওয়া না হওয়ার ভাগ্য নির্ধারণ হবে কারাবন্দি বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার। বগুড়া-৬, ৭ ও ফেনী-১ আসনে বিএনপি প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। গত বুধবার খালেদা জিয়ার পক্ষে তার তিন আইনজীবী পৃথক পৃথকভাবে তিনটি আপিল করেন নির্বাচন কমিশনে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাছাই পর্বে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের করা আপিলের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার নেতৃত্বে আপিল শুনানি পরিচালনা করেন চার নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, কবিতা খানম, মো. রফিকুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহদাত হোসেন চৌধুরী।

দ্বিতীয় দিন আপিলের ক্রমিক নম্বর ১৬১ থেকে ৩১০ পর্যন্ত শুনানি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। শুনানি শেষে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ৭৮ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেন ইসি। এদিন আপিলে ৬৫ জনের আবেদন খারিজ করে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন শুনানি পরিচালনা কমিটি। আর আজ শনিবার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রেখে ৭টি আপিল স্থগিত করা হয়েছে।

দুই দিনের শুনানি শেষে এখন পর্যন্ত প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ১৫৮ জন আর বাতিল থাকছে ১৪১ জনের মনোনয়নপত্র। 

তবে দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে কোনো সিদ্ধান্ত না দিয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত মনোনয়নপত্র স্থগিত রাখা হয়েছে বিএনপির মনোনীত ঢাকা-২ আসনে আমান উল্লাহ আমান ও ঢাকা-৯ আসনে আফরোজা আব্বাসের মনোনয়নপত্র। বাদ পড়েছেন ময়মনসিংহ-৪ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ড্যাব নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে ২৮ নভেম্বর শেষ দিন পর্যন্ত সারা দেশে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা পড়ে ৩০৬৫ মনোনয়নপত্র। আর ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন কারণে অযোগ্য বিবেচনায় বিএনপির প্রধান খালেদা জিয়ার তিনটি মনোনয়নসহ বাতিল হয় ৭৮৬ জনের প্রার্থিতা। বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের আপিলের সুযোগ দিলে ৩ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে ইসিতে আপিল করেছেন ৫৪৩ জন। আপিল আবেদনের শেষ দিনে বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষে তিন আসনে পৃথক পৃথক আপিল করেন তার তিন আইনজীবী।

আপিলে বৈধ হলেন যারা : দ্বিতীয় দিনের শুনানি শেষে মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনে মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন ও আবদুল খালেক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ মো. মেহেদী হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ মো. মুসলিম উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. গিয়াস উদ্দিন ও মো. ছাইফুল্লাহ (হুমায়ুন মিয়া), চট্টগ্রাম-৮ হাসান মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ মো. আবু আহমেদ, কুমিল্লা-১০ মো. শাহজাহান মজুমদার, চাঁদপুর-৫ খোরশেদ আলম খুশু, বরিশাল-১ মো. বাদশা মিয়া, বরিশাল-২ মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা, একে ফাইয়াজুল হক ও সৈয়দ রুবিনা আক্তার, বরিশাল-৪ মাহাবুবুল আলম, বরিশাল-৬ নাসরিন জাহান রতনা (তার মনোনয়ন বাতিল করতে আপিল করা হয়। শুনানিতে সেই আপিল খারিজ হয়ে যায়),   পটুয়াখালী-১ মো. আবদুর রশিদ, পটুাখালী-২ মো. শহিদুল আলম তালুকদার, বরগুনা-১ মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার, পিরোজপুর-৩ মো. রুস্তম আলী ফারাজী, ভোলা-১ গোলাম নবী আলমগীর, ভোলা-৪ নাজিম উদ্দিন আলম, ঝালকাঠি-১ বজলুল হক হারুন (তারও মনোনয়ন বাতিল করতে আপিল করা হয়। শুনানিতে সেই আপিল খারিজ হয়ে যায়), ঢাকা-১ ফাহিমা হুসাইন জুবলী, ঢাকা-৮ এসএম সরওয়ার, ঢাকা-১৬ আলহাজ একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন, ঢাকা-৩ মোহাম্মদ সুলতান আহম্মদ খান, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন (রুবেল) ও নূরুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ-৬ মোহাম্মদ মুছা খান, টাঙ্গাইল-৮ মোহাম্মদ আ. লতিফ মিয়া, নরসিংদী-২ জাইদুল কবীর, কিশোরগঞ্জ-১ খালেদ সাইফুল্লাহ, কিশোরগঞ্জ-৩ ডা. এনামুল হক (ইদ্রিছ), গাজীপুর-৩ মোহাম্মদ জহিরুল হক মণ্ডল বাচ্চু, মানিকগঞ্জ-২ মঈনুল ইসলাম খান, শরীয়তপুর-২ মোহাম্মদ বাদল কাজী, শরীয়তপুর-৩ সুশান্ত ভাওয়াল, মুন্সীগঞ্জ-১ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ-৪ মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন খোকা, টাঙ্গাইল-৩ এসএম চান মিয়া, টাঙ্গাইল-৬ মোহাম্মদ আবুল কাসেম, ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম ও মামুনুর রহমান, টাঙ্গাইল-৭ সৈয়দ মজিবর রহমান, মাদারীপুর-১ মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ ও নাদিরা আক্তার, মাদারীপুর-২ আল আমীন মোল্লা।

আপিলেও অবৈধ প্রার্থী যারা : কুমিল্লা-১ আসনে মো. আলতাফ হোসাইন, চট্টগ্রাম-৬ সামির কাদের চৌধুরী, ফেনী-৩ মো. আবদুল লতিফ জনি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ মো. শাহজাহান, কুমিল্লা-২ মো. আবদুল মজিদ, বরিশাল-৬ ওসমান হোসেইন, পিরোজপুর-৩ ডা. সুধীর রঞ্জন বিশ্বাস, ঝালকাঠি-১ মো. মনিরুজ্জামান, পটুয়াখালী-১ এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, পটুয়াখালী-২ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, ভোলা-৪ এমএ মান্নান হাওলাদার, ঝালকাঠী-১ মোহাম্মদ শাহজালাল শামীম, পিরোজপুর-১ মনিমোহন বিশ্বাস, বরিশাল-৪ মো. মেজবাহ উদ্দীন ফরহাদ, ঝালকাঠী-১ ইয়াসমিন আক্তার পপি, পটুয়াখালী-২ মো. শফিকুল ইসলাম, ভোলা-২ হুমায়ুন কবির, নরসিংদী-২ আলতামাশ কবীর (অনুপস্থিত), কিশোরগঞ্জ-৪ সুরঞ্জন ঘোষ, কিশোরগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ আম্মান খান, মানিকগঞ্জ-১ মোহাম্মদ আতোয়ার হোসেন, ঢাকা-৮ আরিফুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান, ঢাকা-১৭ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খোকন, ঢাকা-৮ অবসরপ্রাপ্ত মেজর মামুনুর রশিদ, গোপালগঞ্জ-১ শামসুল আলম খান চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-৩ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান নয়ন ও নারায়ণগঞ্জ-১ মোহাম্মদ রেহান আফজাল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads