জাতীয়

আজ কুমিল্লা হানাদারমুক্ত হয়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

একাত্তরের এই দিনে পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সম্মিলিত বাহিনী চারদিক থেকে এগিয়ে চলছে। রণপদ্ধতিতে ব্যাপক সুফল পেতে থাকে মিত্র বাহিনী। আর ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল মানেকশ বিভিন্ন ভাষায় লিফলেট ছড়িয়ে দিয়ে হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে এ আশ্বাস দেন যে, আত্মসমর্পণ করলে তাদের প্রতি জেনেভা কনভেনশনের রীতি অনুযায়ী সম্মানজনক ব্যবহার করা হবে। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক শাসক কিছুতেই আত্মসমর্পণের দিকে না গিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে বাংলাদেশে অবস্থানরত সেনা সদস্যদের নির্দেশ দেয়। ফলে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়তে থাকে। প্রতি ক্ষেত্রে হানাদার বাহিনীকে একের পর এক পরাজিত করতে থাকে মুক্তিবাহিনী।

কুমিল্লায় হানাদার বাহিনীর অবস্থানের ওপর মুক্তিসেনারা আর্টিলারি আক্রমণ চালিয়ে শেষ রাতের দিকে তাদের আত্মসমর্পণ করাতে সক্ষম হয়। রাতব্যাপী যুদ্ধে ২৬ মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। হানাদার বাহিনীর কিছু সেনা বিমানবন্দরের ঘাঁটি ত্যাগ করে শেষ রাতে বরুড়ার দিকে এবং সেনানিবাসে ফিরে যায়। বিমানবন্দরের ঘাঁটিতে ধরা পড়া পাকিস্তানি সেনারা আত্মসমর্পণ করে।

এ দিন কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া হানাদারমুক্ত হয়। রাস্তায় নেমে আসে জনতার ঢল। কুমিল্লার সর্বস্তরের জনগণ মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে মুক্তির উল্লাসে বরণ করে নেয়। বিকালে কুমিল্লা টাউনহল মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা, মিত্রবাহিনী ও জনতার উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। তৎকালীন পূর্বাঞ্চলের প্রশাসনিক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মরহুম জহুর আহমেদ চৌধুরী দলীয় পতাকা এবং কুমিল্লার প্রথম প্রশাসক অ্যাডভোকেট আহমদ আলী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় কমান্ডার আফতাব উদ্দিন খান ১৭০ মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে গান স্যালুটের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads