ইসি আপিলের সার্টিফায়েড কপি দিতে পারেনি

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়

সংরক্ষিত ছবি

নির্বাচন

ইসি আপিলের সার্টিফায়েড কপি দিতে পারেনি

বিপাকে বৈধ ও অবৈধ উভয় প্রার্থী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

আপিল নিষ্পত্তির সঙ্গে সঙ্গেই রায়ের সার্টিফায়েড কপি দেওয়া হবে এমন ঘোষণা থাকলেও কোনো প্রার্থীর হাতে তা দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এতে করে মনোনয়নপত্র বাতিল বা বহাল থাকা প্রার্থীরা পড়েছেন বিপাকে। সার্টিফায়েড কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত ইসির দেওয়া সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতেও আপিল করার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। অথচ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামীকাল রোববার। গতকাল শুক্রবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাছাই পর্বে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিলের দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া শুনানির দুই দিনে মোট ৩১০টি আপিলের শুনানি শেষে ১৫৮ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে, অন্যদিকে বাতিল বহাল রয়েছে ১৪১ জনের।

এদিকে আপিল নিষ্পত্তি হওয়া প্রার্থীরা শুক্রবার সকাল থেকে অপেক্ষা করেও সার্টিফায়েড কপি না পেয়ে নির্বাচন ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় ক্ষুব্ধ প্রার্থী ও সমর্থকরা সেখানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

এ সময় কয়েকজন প্রার্থী জানান, আপিলের সার্টিফায়েড কপি নেওয়ার জন্য আজ (শুক্রবার) সকাল ১০টায় আমাদের আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে আসতে বলে ইসি। সকাল থেকে আমরা এসে জানতে পারি দুপুর ২টায় সার্টিফায়েড কপি দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী অপেক্ষা করতে থাকলেও রাত ৮টা পর্যন্ত কেউ আমাদের সার্টিফায়েড কপি দেয়নি।

সার্টিফায়েড কপি দিতে দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে ইসি থেকে আনুষ্ঠানিক কিছু জানানো না হলেও আইন শাখার এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন ১৬০ জনের আপিলের শুনানি হচ্ছে। রায় হচ্ছে। ইসির আপিল শুনানিও আদালতের মতো। আদালতে একটা রায়ের কপি পেতে কত দিন লেগে যায়। আমাদেরও এখানে অনেক কাজ। আমরা দ্রুত দেওয়ার চেষ্টা করছি। কেউ বসে নেই। শনিবার (আজ) সকাল থেকে সার্টিফায়েড কপি দেওয়া শুরু হবে।

শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত ইসি ভবনের সামনে দেখা যায়, গাজীপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টির জয়নাল আবেদীন ও কুমিল্লা-৩ আসনে বিএনপির মুজিবুল হককে, যারা ইসিতে আপিল করে বৈধ হয়েছেন। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে তাদের সার্টিফায়েড কপি দরকার। এ ছাড়া বগুড়া-৭ আসনে জাসদের আবদুর রাজ্জাক, নাটোর-৪ আসনে জাসদের ডিএম আলম, লালমনিরহাট-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হেনা এরশাদ হোসেন, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মিজানুল হক, নীলফামারী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজুল ইসলাম, বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলমসহ বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী অপেক্ষায় ছিলেন যাদের আপিল খারিজ হওয়ায় প্রার্থিতা বাতিল বহাল রয়েছে। উচ্চ আদালতে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করবেন বলেই তারা সার্টিফায়েড কপির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads