ইন্দোনেশিয়ার রাইড শেয়ারিং কোম্পানি গো-জেক

ছবি: সংগৃহীত

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

দ্বিতীয়বারের মতো গো-জেকের বিনিয়োগ পাচ্ছে পাঠাও

  • শাহাদাত হোসেন
  • প্রকাশিত ২৯ এপ্রিল, ২০১৮

বাংলাদেশি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও আবারো বড় অঙ্কের বিনিয়োগ পেতে যাচ্ছে। ভেঞ্চার রাউন্ডের এ বিনিয়োগে নেতৃত্ব দিচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার রাইড শেয়ারিং কোম্পানি গো-জেক। এ রাউন্ডের অন্যান্য বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আছে ওপেনস্পেস ভেঞ্চারস, ওসিরিস গ্রুপ এবং ব্যাটারি রোড ডিজিটাল হোল্ডিংস।

তবে বিনিয়োগের পরিমাণ কত হতে যাচ্ছে সে বিষয়ে পাঠাও কিংবা বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। যদিও প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে- এ বিনিয়োগের পরিমাণ হতে পারে ১০ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৮২ কোটির বেশি।

তবে প্রযুক্তি বাণিজ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ডিলস্ট্রিট এশিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অন্তত ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রতিষ্ঠানটির। এ ছাড়া পাঠাও জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান বাজারমূল্য ১০ কোটি ডলারের বেশি।

নতুন বিনিয়োগ কী কাজে ব্যবহার করা হবে, এ বিষয়ে পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন এম ইলিয়াস টেকক্রাঞ্চকে জানান, বিনিয়োগের অর্থে নতুন কিছু শহরে কার্যক্রম চালু করা হবে। এর পাশাপাশি আরো কিছু সেবা চালু করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। প্রায় ২৫টি শহরে পাঠাওয়ের বিভিন্ন সেবা চালু হতে পারে বলেও জানিয়েছেন ইলিয়াস।

এর আগে মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হোসাইন এম ইলিয়াস জানান, লেনদেনের বিষয়টিকে আরো সহজ করতে ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরির কাজ করছে পাঠাও। তিনি বলেন, ‘একজন ব্যবহারকারী তার ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে পাঠাও ওয়ালেট রিচার্জ করতে পারবেন যেখান থেকে তিনি রাইডারের অর্থ পরিশোধ করবেন। এছাড়া রাইডারের কাছ থেকেও ওয়ালেট রিচার্জ করার সুযোগ থাকবে।’ আগামী মাসেই ‘পাঠাও পে’ নামের এই ই-ওয়ালেট চালু করা হবে বলেও জানান ইলিয়াস।

উল্লেখ্য, কুরিয়ার কোম্পানি হিসেবে ২০১৫ সালে কাজ শুরু করে পাঠাও। পরে এতে যুক্ত করা হয় বাইক রাইড শেয়ারিং সার্ভিস। এক পর্যায়ে বাইক রাইড শেয়ারিংয়ে দেশের অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও পরিচিতি পায় পাঠাও। গত বছর কার রাইড শেয়ারিং এবং ফুড ডেলিভারি সেবাও চালু করে পাঠাও। ২০১৭ সালের শেষের দিকে গো-জেক এতে ২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে। এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে ব্যাটারি রোড ডিজিটাল হোল্ডিংসের কাছ থেকে সিড রাউন্ড বিনিয়োগ পেয়েছিল পাঠাও। বর্তমানে দেশের তিনটি বড় শহরে সেবা দিচ্ছে পাঠাও। এতে প্রায় ৫০ হাজার বাইক এবং পাঁচ শতাধিক কর্মী রয়েছে বলেও দাবি প্রতিষ্ঠানটির।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads