দেনা এক লাখ কোটি রিঙ্গিত  ছাড়িয়েছে : মাহাথির

মালয়েশিয়ার পরিমাণ এক লাখ কোটি রিঙ্গিত ছাড়িয়েছে

ইন্টারনেট

বিদেশ

দেনা এক লাখ কোটি রিঙ্গিত ছাড়িয়েছে : মাহাথির

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২২ মে, ২০১৮

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ জানিয়েছেন, দেশটির দেনার পরিমাণ এক লাখ কোটি রিঙ্গিত (২৫০ বিলিয়ন ডলার) ছাড়িয়ে গেছে। এত বিশাল অঙ্কের রাষ্ট্রীয় ঋণের জন্য তিনি দেশটির সাবেক সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহারকে দায়ী করেছেন। খবর বিবিসি ও দ্য স্ট্রেইটস টাইমস।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবারো শপথগ্রহণ করেই মাহাথির জানিয়েছিলেন, বিগত সরকারের দুর্নীতির তদন্ত করা হবে। এরই অংশ হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় তহবিল আইএমবিডির অর্থ তছরুপ নিয়ে তদন্ত করা হবে। এ জন্য একটি স্পেশাল টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। তারাই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

সোমবার নিজের কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সামনে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। ঋণের পরিমাণ এক লাখ কোটি রিঙ্গিত ছাড়িয়েছে। আমাদের আগে কখনো এরকম পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়নি। আগে ঋণের সীমা কখনোই ৩০ হাজার কোটি রিঙ্গিত ছাড়ায়নি।

তিনি বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী, এই বিপর্যয় মোকাবেলা করতে পারব। কিন্তু সেজন্য দরকার দক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য লোক। প্রশাসক হিসেবে আইনের শাসনকে সবার আগে স্থান দিতে হবে। সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য অবশ্যই পালন করতে হবে। তবেই দেশ এই পরিস্থিতি উত্তরণ করতে পারবে। সবাই একসঙ্গে কাজ করলে ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাব। বিশ্বের দরবারে আবারো আমরা সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারব। এর জন্য খুব বেশিদিন লাগবে না।

রাষ্ট্রীয় দেনার পরিমাণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ ছাড়াও মাহাথির ‘গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স’ (জিএসটি) বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারের সময় তিনি এ ওয়াদা করেন। তিনি বলেন, আগামী জুন থেকে অনেক পণ্য ও সেবার জিএসটি শূন্য করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি নিয়ে সাধারণ জনগণের যে অভিযোগ রয়েছে, তার সমাধানে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

২২ বছর মালয়েশিয়ার নেতৃত্ব দেওয়া মাহাথির বিপুল পরমািণ ঋণের জন্য বিগত সরকারকে দায়ী করলেও তার বর্তমান অর্থনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে সতর্ক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি মুডিস। তাদের মতে, সরকারের সিদ্ধান্ত উপযুক্ত নীতির সঙ্গে সমন্বয় না করলে এই রাজস্ব ঘাটতি বাড়বে। নাজিব সরকার জিএসটি থেকে ২০১৮ সালে ৪ হাজার ৩৮০ কোটি রিঙ্গিত (১ হাজার ১০৫ কোটি ডলার) আয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল- যা মোট রাজস্বের ১৮ শতাংশ। নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেই তা বাতিল করে দিয়েছে। এ ছাড়া জীবনযাপনের ব্যয়বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে তেলের ওপর যে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাতে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে চাপ বাড়বে সরকারের ওপর।

গত সপ্তাহেই মাহাথির বলেছিলেন, দেশের অর্থনীতির বিষয়ে দেওয়া বহু তথ্যই খুব সম্ভবত অসত্য। উল্লেখ্য, নাজিব ক্ষমতায় থাকা অবস্থাতেই সরকারের ঋণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সে সময় নাজিব জানিয়েছিলেন, ২০১৭ সাল পর্যন্ত ঋণের পরিমাণ ছিল জিডিপির ৫০.৯ শতাংশ। এটা সরকার নির্ধারিত সর্বোচ্চ সীমা ৫৫ শতাংশের চেয়ে কম। জিএসটি বাতিল করে দিলেও তার স্থানে সেলস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (এসএসটি) পুনর্বহাল করার কথা সরকারের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads