দুষ্টুমি ও সত্যতা যাছাই করতে খাদ্য সহায়তা চেয়ে জাতীয় কল সেন্টার ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ফেঁসে গেছেন, চারতলা বাড়ির মালিক ফতুল্লার কাশীপুর ইউপির আট নম্বর ওয়ার্ডের দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ফরিদ আহমেদ। জরিমানা হিসেবে একশত গরীব মানুষকে সরকারি খাদ্য সহায়তার অনুরূপ প্যাকেট বিতরণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফা জহুরা।
চাঞ্চল্যকর এঘটনা ঘটে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়।
জানা গেছে,ফরিদ আহম্মেদসহ চারভাই মিলে পৈত্রিক সস্পত্তিতে চার তলা ভবন নির্মাণ করে বসবাস করছেন। ফরিদ আহম্মেদ হোসিয়ারী ব্যবসায়ী। ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিলে সরকারি খাদ্যসামগ্রী পাওয়া সত্য কিনা যাচাই করতে ফোন করে ফরিদ আহম্মেদ। ফোন পেয়ে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফা জহুরা হাজির হন তার বাড়িতে। পরে দেখে ফরিদ চারতলা ভবনের মালিক এবং স্বচ্ছল মানুষ। তখন ইউএনও বলেন, সরকার ৩৩৩ কলসেন্টারের মাধ্যমে অসহায় ও দুস্থদের খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে । কেউ ওই নম্বরে কল করে সঙ্কটের কথা জানালে ইউএনও অফিসে জানানো হয়। পরে তা যাচাই করে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়।
ইউএনও আরিফা জহুরা জানান, দুষ্টুমি করার জন্যই ফরিদ আহম্মেদ খাদ্য সহায়তা চেয়েছে। তাই জরিমানা হিসেবে তাকে ১০০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা দিতে বলা হয়েছে। প্রতি প্যাকেটে সরকারি সহায়তার মতো ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি করে ডাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, লবণ ও পেঁয়াজ থাকবে। শনিবার আমার উপস্থিতিতে এইসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে।