দুঃখ প্রকাশেই দায় সারছে বিএসএফ

সীমান্ত হত্যা চলছেই

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

সীমান্ত হত্যা চলছেই

দুঃখ প্রকাশেই দায় সারছে বিএসএফ

  • রংপুর ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

ভারতীয় সীমান্তে বাংলাদেশের বেসামরিক নাগরিক হত্যা বেড়েই চলেছে। দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের একাধিক পতাকা বৈঠকে সীমান্তে হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা কর্যকর হচ্ছে না। গত ১ মাসে উত্তরের ৪ জেলায় (ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম) ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বিএসএফের হাতে ৫ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত ও আটক হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন। এসব ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেই দায় সেরেছে বিএসএফ। সীমান্তে হত্যা অব্যাহত থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

মানবাধিকার ও পরিবেশ আন্দোলনের (মাপা) প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট মুনীর চৌধুরী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সীমান্ত হত্যা দুটি প্রতিবেশী দেশের সামাজিক সম্পর্কের প্রধান অন্তরায়। বাংলাদেশিরা প্রতিনিয়ত সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। এটি খুবই দুঃখজনক। বিএসএফ বারবার এ হত্যাকাণ্ড কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।

এ বিষয়ে বিজিবির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের এক কর্মকর্তা (রংপুর) নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হত্যাকাণ্ড কমিয়ে আনতে বিজিবি বিভিন্ন তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু চোরাকারবারিরা ভারতে প্রবেশ করে মালামাল আনার সময় হত্যার শিকার হচ্ছে। সরাসরি গুলি না করে তাদের গ্রেফতার করতে বিএসএফের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি। সেই সঙ্গে সীমান্তবাসীকে সচেতন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

বিএসএফ বরাবরই হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে চোরাচালানকে দায়ী করে যাচ্ছে। তবে তারাও অনেক সময় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে হামলা চালায়। গত ১৮ জানুয়ারি রাতে বিএসএফের কয়েকজন সদস্য অবৈধভাবে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশি গ্রামে অনুপ্রবেশ করে স্থানীয়দের ওপর হামলার চেষ্টা করে। গ্রামবাসী তাদেরকে ঘিরে ফেললে অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। পরে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের বৈঠকে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads