‘আনরেস্ট ইন বাংলাদেশ’

বাংলাদেশে গার্মেন্ট শিল্পে শ্রমিকদের বেতন ও কর্মপরিবেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবওয়্যার অনলাইন।

জাতীয়

ওয়েবওয়্যারের প্রতিবেদন

‘আনরেস্ট ইন বাংলাদেশ’

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

বাংলাদেশে গার্মেন্ট শিল্পে শ্রমিকদের বেতন ও কর্মপরিবেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওয়েবওয়্যার অনলাইন। ‘আনরেস্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে এই খাতের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে এসবের দীর্ঘমেয়াদি সমাধান প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে।

পোশাক কারখানা কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক ইউনিয়ন, খুচরা ক্রেতা, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মিলে সংঘাতময় পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গার্মেন্ট শ্রমিকদের হতাশা পরিষ্কারভাবে দেশে শিল্প সংশ্লিষ্ট সম্পর্ককে শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়কে জোরালোভাবে তুলে ধরে। যখন শ্রমিকদের কথা শোনা হবে, যখন শ্রম বাজারের পক্ষগুলো শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধের সমাধান নিয়ে কাজ করবে এবং যখন নিয়মিতভাবে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন কাঠানো পর্যালোচনা (রিভাইস) করা হবে, তখনই এ রকম পরিস্থিতির মতো একটি পরিস্থিতির দীর্ঘমেয়াদি সমাধান সম্ভব।

যাই হোক, গার্মেন্ট শ্রমিকদের হতাশার বিষয়টি আমরা যদিও বুঝি এবং তাদের প্রতি পূর্ণ সহানুভূতিশীল, তবুও আমরা ভাঙচুর ও সহিংসতাকে শেষ উপায় হিসেবে উৎসাহিত করতে পারি না। সব পরিস্থিতিতে সব পক্ষকে সংঘাতময় অবস্থার শান্তিপূর্ণ সমাধান বের করতে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে উৎসাহিত করি।

আমরা এমন ঘটনায় নিজেদের এভাবেই দেখতে চাই। এ জন্যই আমরা গ্লোবাল ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্টের অধীনে গ্লোবাল ইউনিয়ন ইন্ডাস্টিঅল ও সুইডেনের ট্রেড ইউনিয়ন আইএফ মেটঅল-এর সঙ্গে সৃষ্টি করেছি ন্যাশনাল মনিটরিং কমিটি। সংঘাতময় পরিস্থিতির একটি শান্তিপূর্ণ প্লাটফরম এটি। আন্তর্জাতিক শ্রম সংগঠন আইএলও এবং বৈশ্বিক ইউনিয়নগুলোর নির্দেশনার অধীনে আমরা গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধিকে সমর্থন করি। এসব নির্দেশনায় প্রয়োজনে শ্রমিক ও নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের সমন্বিত দর কষাকষির বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে। সেই দর কষাকষি হলো শ্রমিকদের বেতন ও কর্মপরিবেশ নিয়ে।

বৈশ্বিক ইউনিয়ন ইন্ডাস্ট্রিঅল এবং ন্যাশনাল মনিটরিং কমিটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংলাপে যুক্ত এইচঅ্যান্ডএম। এর উদ্দেশ্য সংঘাতময় পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ একটি সমাধান বের করা। (বাংলাদেশে) এই অস্থিরতার পর কারখানা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, ইন্ডাস্ট্রিঅলসহ সংশ্লিষ্ট ট্রেড ইউনিয়নগুলো এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, তিনটি কারখানা থেকে সম্প্রতি গার্মেন্ট শ্রমিকদের বরখাস্ত করা হয়েছে।

এসব কারখানা এইচঅ্যান্ডএম গ্রুপসহ অন্যদের জন্য পোশাক তৈরি করে। আমরা ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি, যেসব ডকুমেন্ট ও চুক্তি সব পক্ষ মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করেছে এবং অনুমোদন দিয়েছে, তাতে শ্রমিকদের বরখাস্তের বিষয়ে কতটুকু বৈধ তথ্য ও যথার্থতা আছে তা জানতে। এই ইস্যুটি হবে আমাদের এজেন্ডার মধ্যে শীর্ষস্থানীয়। আমরা সরবরাহকারী, কারখানা সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন, ট্রেড ইউনিয়ন ও অন্যান্য ক্রেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads