দিনাজপুরে ফুলকপির কেজি ৫ টাকা

সংগৃহীত ছবি

পণ্যবাজার

দিনাজপুরে ফুলকপির কেজি ৫ টাকা

  • দিনাজপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ নভেম্বর, ২০১৮

দিনাজপুরের পাইকারি বাজারে শীতকালীন সবজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫ টাকা কেজি দরে। একই সঙ্গে বেগুন, বাঁধাকপি ও মুলাও সস্তায় পাওয়া যাচ্ছে। দিনাজপুরের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার বাহাদুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, ফুলকপি এক মণ (৪০ কেজি) ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাঁধাকপির মণ ১৫০, বেগুন ২০০ ও মুলা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা মণ দরে। দিনাজপুর শহরের শিকদারগঞ্জ গ্রামের কৃষক রহিম উদ্দীন জানান, তিনি এক মণ মুলা মাত্র ৮০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন।

একই এলাকার কৃষক রফিক হোসেন জানান, বেগুন ২০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছেন। তবে পাইকারি বাজারে সবজির দাম কম হলেও খুচরা বাজারে সবজির দাম একটু বেশি। পাইকারি বাজারে ৫ টাকা কেজি দরে ফুলকপি বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে দাম ৮ টাকা।  মেতানী বেগুন, বাঁধাকপির দামও খুচরা বাজারে একটু বেশি।

বাহাদুর বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা রুবেল হোসেন বলেন, পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি করতে অনেক ঘাটতি হয়। এ কারণে খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। তবে তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে শীতকালীন সবজির দাম প্রতি কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমে অর্ধেকে নেমেছে। বর্তমানে বাজারে শীতকালীন সবজি প্রতি কেজি পাতাওয়ালা পেঁয়াজ ৫০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ২০ টাকা, ফুলকপি ২৫ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৮টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০ টাকা, শিম ৪০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ২০, মুলা ১০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৬, লাউ ২০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২, করলা ৪০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ২৫, বেগুন ২০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০, বরবটি ২০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১২, পালংশাক ৮ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫, টমেটো ৮০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৫০, শসা ৪০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ২৫ ও ওলকচু ৪০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ২৫ টাকা।

দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. তৌহিদুল ইকবাল জানান, সবজি উৎপাদন বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। তারপরও কৃষক যে পরিমাণ মূল্য পাচ্ছে এতে করে তাদের লোকসান হওয়ার কথা

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads