পুরনো কথা। তবু মানুষ দাঁতের মর্যাদা বোঝে না। দাঁতের যত্ন নেয় না। তাই একদিন সকালে ঘুম ভাঙে প্রচণ্ড দাঁতব্যথায়। তাও তেমন পাত্তা দেয় না। দু-একদিন এমনিই নষ্ট করে। গরম পানির কুলকুচি করে। ভাবে এমনিতেই সেরে যাবে। ডাক্তারের কাছেও যায় না। ধীরে ধীরে যে দাঁতে হানা দিয়েছে পোকা তা বুঝতেও পারে না। তাছাড়া দাঁতের ক্ষয়রোগও হতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা দাঁত নড়ে যায়। দাঁতের যন্ত্রণা থেকে মাথাব্যথা, কানব্যথাও হতে পারে। দাঁত শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং নাজুক অঙ্গ। দাঁতের যন্ত্রণা জীবনকে তছনছ করে ফেলতে পারে। যার হয় সে-ই বোঝে। দাঁতের প্রাথমিক যত্ন ও সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন সাফিনা ওমেন’স ডেন্টাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের লেকচারার ডা. শিউলি ইয়াসমিন। তিনি জানালেন দাঁতের যত্নের কিছু চটজলদি টিপস।
* প্রতিবার খাওয়ার পর ভালো করে কুলি করুন। মাংস খেলে অবশ্যই টুথপিক ব্যবহার করে দাঁতের ফাঁক থেকে মাংসের রোয়া বের করে ফেলুন। তা না হলে তা জমে থেকে এডিডের সৃষ্টি হবে এবং তা দন্তক্ষয়ের কারণ হবে।
* দুই বেলা ব্রাশ করুক। ঘুম থেকে উঠে সকালে এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে। দাঁতব্রাশের জন্য সঠিক টুথব্রাশ ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখবেন শলাকাগুলো যেন খুব বেশি শক্ত না হয়। তাহলে মাড়িতে ঘষা খেয়ে রক্ত বেরোতে পারে। দীর্ঘক্ষণ দাঁত ব্রাশ না করাই উত্তম। ত্রিশ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট সময়ই যথেষ্ট দাঁত ব্রাশের জন্য। অতিরিক্ত ঘষাঘষি করবেন না। মনে রাখবেন আপনার মুখের ভেতর এগুলো দাঁত, পাথর নয়।
* টুথপেস্ট নির্বাচনেও সতর্ক হোন। খেয়াল করে দেখবেন টুথপেস্ট ব্যবহারের পর আপনার দাঁত শিরশির করে কি-না। তাহলে অবশ্যই তা বাদ দেবেন। বাজারের ভালো মানের টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
* অতিরিক্ত সফট ড্রিঙ্কস, ঠান্ডা, সোডা, চকোলেট জাতীয় খাবার বেশি খাবেন না
* পান, সিগারেট, তামাকজাতীয় খাবার তো একেবারেই বর্জনীয়। মনে রাখবেন, এসব কিন্তু দাঁতের গোড়ায় এবং মুখের ক্যানসারের জন্য অন্যতম দায়ী। ক্যানসার না হলেও দাঁতের মাড়ি ক্ষয়ে, দাঁত নড়ে সারা জীবনের শান্তি নষ্ট করার কারণ হতে পারে।
* দাঁত সতেজ সুন্দর রাখতে চাইলে বেশি বেশি ফল খান চিবিয়ে। পেয়ারা, আমড়া, আখ, আপেল, বরই, সফেদা, জামরুল, আমলকী ইত্যাদি ফল খুবই উপকারী দাঁতের জন্য।