ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ
তালবিয়া আরবি শব্দ। তালবিয়া পাঠের মাধ্যমেই কার্যত হজ ও ওমরায় প্রবেশের ঘোষণা দেওয়া হয়। তালবিয়াকে হজের স্লোগান বলা হয়— লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননেয়মাতা লাকা ওয়াল মুলকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি হাজির। তোমার কোনো শরিক নেই। নিশ্চয়ই প্রশংসা ও নেয়ামত তোমার এবং রাজত্বও, তোমার কোনো শরিক নেই।’
তালবিয়া পাঠের হুকুম : তালবিয়া হজের স্লোগান। তাই তালবিয়া পাঠের কোনো বিকল্প নেই। তালবিয়া পাঠ ফরজ না ওয়াজিব না সুন্নত- এ নিয়ে ফেকাহবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ওমরার ক্ষেত্রে তালবিয়ার শুরু ইহরামের নিয়ত করার সময় থেকে এবং শেষ বায়তুল্লাহর তাওয়াফ শুরু করার সময়ে। আর হজের ক্ষেত্রে ইহরামের নিয়ত করার সময় থেকে ১০ জিলহজ বড় জামরায় পাথর নিক্ষেপের আগমুহূর্ত পর্যন্ত। রসুলুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণিত আরবি শব্দমালা ব্যবহার করে তালবিয়া পড়া সুন্নত।
যদি কেউ আরবি তালবিয়া উচ্চারণ করতে না পারেন, তাহলে বাংলা ভাষায় তালবিয়ার অনুবাদ মুখস্থ করে পড়লেও দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে। তবে যেহেতু আরবি তালবিয়াটিই হজের শেয়ার বা স্লোগান, তাই হজ পালনেচ্ছু ব্যক্তিমাত্রেরই উচিত হবে মেহনত করে শুদ্ধভাবে আরবি তালবিয়াটি শিখে নেওয়া। তালবিয়া মুখে উচ্চারণ করা জরুরি। যদি কেউ মনে মনে তালবিয়া পড়েন, তবে তা যথেষ্ট হবে না। তালবিয়ার ক্ষেত্রে সশব্দে উচ্চারণ করে পড়া ছাড়া অন্য কোনো পদ্ধতি আমাদের জানা নেই, তাই সশব্দে উচ্চারণ করে তালবিয়া না পড়লে রসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শের অনুসরণ হবে না।
লেখক : কন্ট্রিবিউটর, পথ ও পাথেয়