মুদ্রা পাচার ও দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করতে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পত্র যোগাযোগ চলছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি চিঠি দিয়েছি, ভবিষ্যতেও দেব। ইতোমধ্যে ব্রিটিশ হোম অফিস আমাদের চিঠির জবাবও দিয়েছে।
জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৮ সালে সপরিবারে লন্ডন যাওয়ার পর আর ফেরেননি তারেক। সেখানে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের আদালতে মুদ্রা পাচার ও দুর্নীতির দুটি মামলায় তার সাত ও দশ বছরের সাজার রায় হয়।
এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগে কয়েক ডজন মামলায় তারেক রহমানের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়া রয়েছে। এর মধ্যে ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলার তারেকের বিচার চলছে তাকে পলাতক দেখিয়েই।
এ বছরের এপ্রিল মাসে লন্ডনে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যেভাবেই হোক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আদালতের মুখোমুখি করবো।
বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে তিনি বলেন, এই সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদেশের মাটিতে। আবার বিদেশের মাটিতে বসে প্রতিদিন সে আন্দোলন করে। ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আমাদের তাকে ফিরত দেয়া সম্পর্কে আলোচনা করছি।
যে পাসপোর্ট নিয়ে তারেক লন্ডন গিয়েছিলেন, তার মেয়াদ ২০১৩ সালে ফুরিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ২৩ এপ্রিল বলেছিলেন, তারেক রহমান তার পাসপোর্ট যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে সারেন্ডার করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তারেক বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন বলেই তিনি মনে করেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সে সময় বলেছিলেন, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না থাকলেও ‘মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিটেন্স অ্যাক্টের’ আওতায় তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে কোনো সমস্যা নেই।