অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এক নারীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ নিয়ে আলোচনায় আসেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তিনি হাজির হয়েছেন বলে জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তিনিই এই মামলার অনুসন্ধান কর্মকর্তা।
জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব বলেন, মিজানের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করে দুদক।
পুলিশের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। চাকরি জীবনে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার নামে-বেনামে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে। একাধিক ব্যাংক হিসাবে রয়েছে বিপুল অর্থ ও ফিক্সড ডিপোজিট।
এই বছরের জানুয়ারিতে পুলিশ সপ্তাহ শুরুর আগে পুলিশের উপ মহাপরিদর্শক মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান রেখে আরেক নারীকে জোর করে বিয়ের অভিযোগ ওঠার পর ব্যাপক তোলপাড় হয়। এরপর ডিএমপিতে অতিরিক্ত কমিশনার মিজানকে ঢাকা মহানগর পুলিশ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।