ইউরোপের লড়াইয়ে ব্যর্থ হলেও ঘরোয়া ফুটবলে দাপট বজায় রেখেছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। লিগ কাপ ও লিগ ওয়ান জয়ের পর ফ্রেঞ্চ কাপেরও শিরোপা ঘরে তুলেছে। মঙ্গলবার ফাইনালে লেস হারবির্সকে ২-০ গোলে হারিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করে।
স্টাডি ডি ফ্রান্সে তৃতীয় সারির দল লেস হারবির্সেল বিপক্ষে খেলতে নামে পিএসজি। ম্যাচে প্রথম থেকে দাপটও দেখায়। তবে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয় পেতে অনেক ঘাম ঝরাতে হয়। অবশেষে লো সেলসো দলকে লিড এনে দেন। আর দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে নিশ্চিত করেন এডিসন কাভানি।
প্রথম কোনো মেজর শিরোপার স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামেন তৃতীয় ডিভিশন থেকে অবনমনের শঙ্কায় থাকা লেস হারবির্স। সবকিছু উজাড় করে দিয়ে লড়াইও করে। এমবাপে-ডি মারিয়াদের সামনে বার বার প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শেষ পর্যন্ত সফল হতে পারেনি। ফলে ঘরোয়া কাপে টানা ৪২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে পিএসজি। টানা চতুর্থবারের মতো ফ্রেঞ্চ কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়। সব মিলিয়ে রেকর্ডটি টেনে নিয়ে যায় ১২-এর ঘরে।
এদিন স্টেডিয়ামে বসে সতীর্থদের খেলা দেখেন ব্রাজিলীয় তারকা নেইমার। তবে আরেক ব্রাজিলীয় তারকা দানি আলভেজ খেলার দ্বিতীয়ার্ধে হাঁটুতে চোট পান। সঙ্গে সঙ্গে মাঠ না ছাড়লেও শেষ দিকে তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ।
জায়ান্টদের বিপক্ষে খেলতে সাহসী কৌশল অবলম্বন করেন লেস হারবির্সের কোচ স্টিফানি মাসালা। শুরুর কয়েক মিনিটে তার শিষ্যরা বেশ কয়েকটি আক্রমণও চালায়। তবে সেটি বেশিক্ষণ বজায় রাখতে পারেনি।
ম্যাচের আট মিনিটে পিএসজি তারকা এমবাপে চমৎকার একটি বল শট নেন। কিন্তু সেটি গোলপোস্টে লেগে ফিরে যাওয়া হারবির্স বেঁচে যান। খেলার ২০ মিনিটে লো লেসলোও গোলবঞ্চিত হন।
তিনবার পিএসজির বল পোস্টে লেগে ফিরে আসার পর খেলার ২৬ মিনিটে জাল খুঁজে পান জিওভানি লো সেলসো। ২৫ গজ দূর থেকে বাঁকানো শটে দলকে লিড এনে দেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিটে লেস হারবির্সের জালে বল জড়িয়ে দেন এমবাপে। তবে ভিএআর পদ্ধতির সাহায্যে দেখা যায় মারকুইনহোস আগেই হ্যান্ডবল করেন। ফলে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
খেলার ৭৪ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ তৈরি করেন এডিসন কাভানি। তবে গোলরক্ষক তাকে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টি পায় পিএসজি। সেটি গোলে পরিণত করতে ভুল করেননি উরুগুইয়ান ফুটবলার।