ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে টাঙ্গন নদীর উন্মুক্ত জলাশয়ে খাঁচায় মাছ চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন মৎসচাষিরা। তিনটি ইউনিটে ৩০টি খাঁচায় পরীক্ষামূলকভাবে মনোসেক্স জাতীয় তেলাপিয়া মাছ চাষ করে এবার প্রায় ৭ লাখ টাকা মুনাফা হয়েছে। আগামী বছরে এখান থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আয় হবে আশা করছেন মৎস্য বিভাগ। জানা যায়, ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সেবা সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার রানীরঘাট রাবার ড্যামের উজানে সিরাইলে টাঙ্গন নদীর উন্মুক্ত জলাশয়ে ২০১৭ সালে ১টি ইউনিটে ১০টি খাঁচা স্থাপন করা হয়। স্থানীয়ভাবে ২০ জন মৎস্যচাষি নিয়ে সেখানে একটি মৎস্যজীবী সমিতি গঠন করা হয়। সেই সমিতির তত্ত্বাবধানে শুরু হয় খাঁচায় মনোসেক্স জাতীয় তেলাপিয়া মাছ চাষ। সেবা মৌসুম ধরতে না পারলেও ২০১৮ সালে সেখানে মাছ চাষ করে আয় হয় প্রায় ৫ লাখ টাকা। এদিকে সাগুনী রাবার ড্যামের উজানে গত বছর পর্যায়ক্রমে ২টি ইউনিটে ২০টি খাঁচা স্থাপন করা হয়। ২৪ জন মৎস্যচাষির একটি সমিতির তত্ত্বাবধানে সেখানেও চলছে মাছ চাষ। এরই মধ্যে সেখানকার চাষ করা মাছ বাজারজাত করা শুরু হয়েছে। সাগুনী মৎস্য সমিতির সদস্য সন্তোষ বলেন, মৎস্য বিভাগের লোকজন নিয়মিত তদারকি করেন। খোঁজখবর নেন ও পরামর্শ দেন। তিনি জানান, খাঁচায় যে পরিমাণ মাছ রয়েছে তা প্রায় ৩ লাখ টাকায় বিক্রি হবে। এতে লাভ হবে প্রায় ২ লাখ টাকা। পীরগঞ্জ উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ইসমত আরা বলেন, একটি খাঁচায় ৬০০ থেকে ১ হাজার পিস মাছ চাষ করা যায়। প্রতি তিন মাস অন্তর মাছ বিক্রি করা যাবে। এতে একটি খাঁচা থেকেই সব খরচ বাদ দিয়ে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা আয় করা যাবে। উপজেলার দুটি স্থানে তিনটি ইউনিটের ৩০টি খাঁচায় আগামী বছর মাছ চাষ করে প্রায় ১৫ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন চাষিরা। এতে চাষিরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি মাছের উৎপাদন বাড়বে।