খুলনার দাকোপ উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হলেও দাম না থাকায় কৃষকের মুখে হাসি নেই। হাটবাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬২০ টাকায়। পরিবারের সব কেনাকাটা এবং ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য কৃষক তাকিয়ে থাকে আমন ধানের দিকে। সেই ধানের বাজারমূল্য অস্বাভাবিক হ্রাস পাওয়ায় চোখে সর্ষেফুল দেখতে শুরু করেছে উপজেলার কৃষকরা। কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, প্রতি কেজি ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে ২০ টাকা, যা প্রতি মণে দাঁড়ায় প্রায় ৮০০ টাকা। আর এই ধান হাটে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। ধান বেচাকেনার দুটি বড় হাট হলো বাজুয়া বাজার এবং চালনা বাজার। চালনা হাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি বস্তা (৬০ কেজি) ধান বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায়। এছাড়া বাজারে তেমন ক্রেতা না থাকায় ধান বিক্রি করতে আসা কৃষকের মধ্যে কয়েকজন দাম না পাওয়ায় ধান বাড়ি নিয়ে যান। কৃষকের কষ্ট দেখার যেন কেউ নেই। এ প্রসঙ্গে দাকোপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান বলেন, এবার প্রতি কেজি আমন ধান উৎপাদনে খরচ পড়েছে ২০ টাকা। এ হিসাবে মণপ্রতি খরচ দাঁড়ায় ৮০০ টাকা। সরকারের ধান ক্রয় অভিযান শুরু হলে ধানের দাম বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বছর সরকার ২৩ টাকা ৭৫ পয়সা কেজি দরে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।