যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে টর্নেডোর আঘাতে অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও ডজন খানেক মানুষ।
শক্তিশালী এ টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড হয়েছে শত শত বাড়ি, ঘর ও স্থাপনা। শেষ খবর পর্যন্ত অন্তত ৫৬ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাজ্যে ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে টর্নেডোটি আঘাত হানে বলে জানিয়েছেন কেন্টাকি রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার।
তিনি বলেন, ‘এটি সবচেয়ে টর্নেডোর সবচেয়ে ভয়াবহ ক্ষতি হতে যাচ্ছে, যা আমরা দীর্ঘ সময়ের মধ্যে দেখেনি। এটি সম্ভবত আমাদের রাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক টর্নেডো হতে পারে। আমাদের বিশ্বাস, কেন্টাকিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যাবে এবং সম্ভবত তা ৭০ থেকে ১০০ হবে।’
গভর্নর জানিয়েছেন, গ্রেভস কাউন্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মধ্যে মেফিল্ড শহরটিও রয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের নিরাপদ পানি সরবরাহের জন্য গাড়ি পাঠানো হয়েছে। কেন্টাকিতে টর্নেডোর আঘাতের ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। রাজ্যে টর্নেডোর আঘাতের পর জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। উদ্ধার তৎপরতার জন্য ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।
মেফিল্ডের একটি কারখানার ছাদ ধসে পড়েছে। ওই কারখানার ভেতরে শতাধিক শ্রমিক ছিল। অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা এখানে ঘটেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে বেশ কয়েকটি টর্নেডো আঘাত হানে। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, ঝড়ের মৌসুমে না হলেও যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল টর্নেডো; সঙ্গে ছিল আচানক ঝড়ও।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, আরকানসাস অঙ্গরাজ্যে একটি নার্সি হোমের ছাদ ধসে টর্নোডোতে অন্তত একজনের মৃত্যু হয়েছে। ইলিনয় অঙ্গরাজ্যেও একটি বাড়ির ছাদ উড়ে গেছে। এতে এর ভেতরে বেশ কয়েকজন আটকা পড়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া সেবার ঝড় পর্যবেক্ষক বিল বান্টিং বলেন, টর্নেডোয় মৌসুরি ও টেনিসি অঙ্গরাজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সেখানকার একটি রেল যোগাযোগ কোম্পানি জানিয়েছে, কেন্টাকিতে তাদের কয়েকটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে।