ফয়সল আহমেদ খান, বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের দিনমজুর মাইনুদ্দিন। কয়েক বছরেই কোটি টাকা সম্পদ বানিয়েছেন। থাকার জন্য বানিয়েছেন দোতলা ভবন। হঠাৎ তার এই উন্নতিতে এলাকাবাসী রীতিমতো অবাক। তবে অনেকের ধারণা, তার এই সম্পদ গড়ার পেছনে রয়েছে প্রতারণা। ঝাড়ফুঁক ও তাবিজে সব রোগের আসান করার নামে তিনি মানুষের কাছ থেকে প্রচুর অর্থ নিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে অসংখ্য প্রতারণার অভিযোগ থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন নীরব। দশানী এলাকার ব্যবসায়ী সজল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘ভণ্ড মাইনুদ্দিন আমার ব্যবসায় উন্নতি করে দেওয়ার নামে দুই দফায় ১০ হাজার টাকা নিয়েছেন। ব্যবসায় উন্নতি না হয়ে এখন উল্টো বন্ধ হয়ে গেছে।’
এলাকার অনেকে জানান, বছর খানেক আগে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার সাবেক ওসি অংশু কুমার দেবের এক অভিযানে মাইনুদ্দিন কয়েক মাস এলাকা ছেড়ে নরসিংদীতে আত্মগোপনে ছিলেন। পরে আবার গ্রামে ফির এসে প্রতারাণা শুরু করেন। বছর দশেকের মধ্যে মাইনুদ্দিন কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। বসতভিটা ছাড়াও এলাকায় তার রয়েছে আরো একটি বাড়ি, চার বিঘা জমি। নিজেকে বিপদমুক্ত রাখতে নাম লেখিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক হিসেবে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে মাইনুদ্দিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সব এলাকা থেকে মানুষজন আমার কাছে আইয়ে (আসে) উপকার পায় বিধায়। আমি কাউরে জোর কইরা আমার কাছে আনি না। আগে অভাব আছিল বিধায় মানুষের বাড়িতে কাম করছি। এহন আল্লাহর রহমতে আমি কোটিপতি।’
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন এ ব্যপারে বলেন, ‘হোগলাকান্দির কথিত তাবিজ-কবজের ব্যবসায়ী মাইনুদ্দিনের সঙ্গে আমাদের থানার পুলিশের কোনো যোগাযোগ নেই। তবে তার সম্পর্কে আমাদের কাছে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে, অবশ্যই তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’