সর্বাধিক ইতালিয়ান কাপ জয়ের রেকর্ড আগে থেকেই দখল করে রেখেছে জুভেন্টাস। রেকর্ডটা এবার আরো একধাপ বাড়িয়ে নিল ইতালিয়ান এই জায়ান্ট ক্লাব। ফাইনালে এসি মিলানকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে রেকর্ড ১৩তম ইতালিয়ান কাপ জিতে নিয়েছে তারা। এ নিয়ে রেকর্ড টানা চতুর্থ ইতালিয়ান কাপ ঘরে তুলল সাদা-কালো শিবির। আরো একটি রেকর্ড করেছে জুভেন্টাস। চলতি মৌসুমে কাপ জয়ের লড়াইয়ে কোনো প্রতিপক্ষই গোল দিতে পারেনি তাদের।
রোমের স্তাদিও অলিম্পিকোতে ম্যাচের শুরু থেকে মাঠে আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে জুভ ফুটবলাররা। কিন্তু মিলানের রক্ষণভাগ কোনো সুযোগ না দেওয়ায় গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। যে কারণে ম্যাচে লিড পেতে জুভেন্টাসকে অপেক্ষা করতে হয় ৫৬ মিনিট পর্যন্ত। পাবলো দিবালার ক্রস থেকে উড়ে আসা বলে মেধি বেনাতিয়া মাথা ছোঁয়ালে এগিয়ে যায় তুরিনের ক্লাবটি। পাঁচ মিনিট বাদে ভুল করে বসেন ১৯ বছরের মিলান গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি ডোন্নারুম্মা। সেই সুযোগে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করে বসেন ডগলাস কস্তা। ৬৪ মিনিটে মারিও মানজুকিচের হেড থেকে বল পেয়ে জুভদের জোড়া গোল উপহার দেন সেন্টার-ব্যাক বেনাতিয়া। ফের ভুল করে বসেন মিলানের স্ট্রাইকার নিকোলা কালিনিচ। মিরালেন পিজানিকের কর্নার শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন কালিনিচ। ভুল করে ছিলেন ব্লেইজ মাতুইদিও। অসাবধানতাবশত জুভেন্টাস মিডফিল্ডার বল লাগান নিজেদের পোস্টে। একটু এদিক ওদিক হলেই গোল পেয়ে যেত মিলানের জায়ান্টের ক্লাবটি।
কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রির জুভেন্টাসের অপেক্ষা এখন টানা চতুর্থবারের মতো ঘরোয়া ডবল শিরোপা জয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার। টানা সপ্তম সিরি-এ ট্রফি জয়ের জন্য শেষ দুই লিগ ম্যাচ থেকে জুভেন্টাসের দরকার মাত্র দুই পয়েন্ট। বিপরীতে প্রথমার্ধে ভালো খেললেও বিরতির পর খেই হারিয়ে ফেলে কোচ জেনারো গাত্তুসোর মিলান। ফলে ২০০৩ সালের পর প্রথম ইতালিয়ান কাপ জয়ের স্বপ্ন ভেঙে গেলে মিলানের সাত বছরের শিরোপা খরা কাটল না এবারো। তবে মজার ব্যাপার হলো, ১৯৯৯ সালের পর এই প্রথম ইতালিয়ান কাপের ফাইনালে নাম লিখলেন জুভদের কিংবদন্তি গোলরক্ষক জিয়ানলুইগি বুফন।