জীবন বাঁচাতে সিপিআর

সংগৃহীত ছবি

স্বাস্থ্য

জীবন বাঁচাতে সিপিআর

  • প্রকাশিত ৩ অক্টোবর, ২০১৯

Cardiopulmonary resuscitation (CPR) এটা একটা জীবন বাঁচানো প্রাথমিক চিকিৎসা। এটা জানা থাকলে আশপাশে হার্ট অ্যাটাক হওয়া বা নিঃশ্বাস বন্ধ হওয়া, হার্টবিট বন্ধ হওয়া যে কারো জীবন বাঁচানো যেতে পারে।  সিপিআর দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো, হার্টের ওপর চাপাচাপি করে কোনো রকমে হার্টটাকে একপ্রকার রিস্টার্ট দেওয়া, আবার কোনো রকমে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ চালু করানো। আশপাশে কোনো ভিড় করতে দেওয়া যাবে না; কারণ এতে উল্টো রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সুযোগ কমে যাবে ভিড় করায়। চিকিৎসকদের মতে, কাউকে আচমকা অজ্ঞান হয়ে যেতে দেখলে প্রথমে দেখে নিতে হবে তার শ্বাস-প্রক্রিয়া চলছে কি না। যদি দেখা যায় অচেতন মানুষটির শ্বাস বন্ধ এবং নাড়ির গতিও ক্ষীণ, তখন দ্রুত বিশেষ পদ্ধতিতে হার্ট ম্যাসাজ করলে প্রায় ৭০-৭৫ শতাংশ মানুষকে সে যাত্রায় বাঁচানো যায়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে আপনি-আমিও এই হূদস্পন্দন চালু করার কাজটি করতে পারি। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ‘কার্ডিও পালমোনারি রিসাটিটেশন’ বা ‘সিপিআর’।

সম্প্রতি প্রাইম ব্যাংকে কাজ করা অবস্থায় এক মহিলা মারা যাওয়ার ভিডিও অনেকেই অনলাইনে দেখেছেন। হঠাৎ হূদস্পন্দন থেমে গিয়ে আচমকা মৃত্যুর খবর প্রায়শই শোনা যায়। ডাক্তারি পরিভাষায় একে বলে ‘সাডেন কার্ডিয়াক ডেথ’। পথেঘাটেই হোক বা বাড়ি কিংবা অফিসে যখন তখন হূদস্পন্দন থেমে যেতে পারে হার্ট কমজোরি থাকলে। সেই সময় যতটা দ্রুত সম্ভব হার্ট চালু করে দিলে আচমকা মৃত্যু ঠেকিয়ে দেওয়া যায়।

সিপিআর দেওয়ার আগে যেসব বিষয় চেক করতে হবে-

- প্রথমে দেখে নিন আশপাশের পরিবেশ নিরাপদ কি না। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া লোকটার কাঁধে একটা চাপড় দিন, দিয়ে জিজ্ঞেস করুন, আর ইউ ওকে? মানে সব ঠিকঠাক কি না! মানে নিশ্চিত হওয়ার জন্য যে লোকটার আসলেই সাহায্য লাগবে কি না। যদি তার সাহায্য চাওয়ার মতো অবস্থায় না থাকে, তবেই সাহায্য করা শুরু করুন!

- ৯৯৯ কল দিন। অ্যাম্বুলেন্স টেন্স নিয়ে আসতে ফোন করে দিন।

- বাংলাদেশে কেউ পড়ে যাওয়া মাত্রই আশপাশে লোকজন ভিড় করে মজা দেখতে শুরু করবে, তাদের তাড়িয়ে দিন, নিঃশ্বাস নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করাই সিপিআরের মূল উদ্দেশ্য।

- দেখুন শ্বাস নিচ্ছে কি না। যদি দেখেন ১০ সেকেন্ড কোনো শ্বাস নিচ্ছে না তবে সিপিআর শুরু করে দিন।

কীভাবে সিপিআর দেবেন

- হাত বুকের মাঝখানে রাখুন, একটু বাম দিকে। শরীরের ওজন দিয়ে জোরে জোরে চাপ দিতে থাকুন। বেশ জোরে যেন দুই ইঞ্চি পরিমাণ দেবে যায় প্রতিবারে। মিনিটে ১০০ বার এমন চাপ দিন।

- মুখের মাঝে মুখ লাগিয়ে ফুঁ দিন। এটাকে বলে রেসকিউ ব্রেথ।

- আবার বুকের মাঝে ১ নম্বর নিয়মের মতো করে চাপ দিতে থাকুন, যতক্ষণ না শ্বাস-প্রশ্বাস আবার চালু হয়। চাপ দিতেই থাকুন!

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads