ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখীর খ্যাতি আজো বিশ্বজুড়ে। বিভিন্ন এলাকায় পছন্দের মিষ্টি জাতীয় খাবারের তালিকায় প্রথম সারিতে আসে ছানামুখীর নাম। প্রায় ১০০ বছর আগে লোভনীয় খাবারের তালিকায় এই নামটি যোগ করেছিলেন ভারতের কলকাতার মহাদেব পাঁড়ে। ব্রিটিশ রাজত্বকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহাদেব পাঁড়ের তৈরি ছানামুখীর খ্যাতি উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। মহাদেব পাঁড়ের জন্ম ভারতের কাশীধামে হলেও বড় ভাই দুর্গা প্রসাদের দোকানে মিষ্টি তৈরি করতে কলকাতায় আসেন কিশোর মহাদেব। কিন্তু তার বড় ভাই মারা যাওয়ার পর আশ্রয়হীন হয়ে যান মহাদেব। ঘুরতে ঘুরতে একসময় তিনি চলে আসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। জেলা শহরের মেড্ডায় শিবরাম মোদকের মিষ্টির দোকানে কাজ নেন তিনি। সেখানে কিছুদিন কাজ করতেই তার বানানো মিষ্টির সুনাম ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। কথিত আছে, এই মহাদেব পাঁড়ের বানানো এক বিশেষ মিষ্টি খেয়ে প্রশংসা করেছিলেন ভারতের তৎকালীন বড়লাট লর্ড ক্যানিং এবং তার স্ত্রী লেডি ক্যানিং। আর তাই এই মিষ্টির নাম রাখা হয় ‘লেডি ক্যানিং’। মহাদেবের আরেক মুখরোচক খাবারের নাম ছানামুখী। এই দোকানে থেকেই তিনি তৈরি করেন ছানামুখী। এক-দুই করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখীর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। তবে গরমকালে ছানামুখীর চাহিদা বেশি থাকে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। শীতকালেও ছানামুখী বিক্রি হয়, তবে তা তুলনামূলক কম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিভিন্ন দেশে থাকা স্বজনদের জন্য পাঠানো হয় এ মিষ্টি।