চট্টগ্রাম বন্দরে জমেছে ৪৬ হাজার টিইইউস কন্টেইনার

চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে জমেছে কন্টেইনারের স্তূপ

সংগৃহীত ছবি

আমদানি-রফতানি

ঈদের ছুটিতে ডেলিভারি হ্রাস

চট্টগ্রাম বন্দরে জমেছে ৪৬ হাজার টিইইউস কন্টেইনার

  • শামসুল ইসলাম, চট্টগ্রাম
  • প্রকাশিত ২৭ অগাস্ট, ২০১৮

টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানি পণ্য ডেলিভারিতে। এ পাঁচ দিনে যে পরিমাণ পণ্যবাহী কন্টেইনার ডেলিভারি হয়েছে, তা অন্য সময়ের তুলনায় মাত্র এক দিনের সমান। ফলে বন্দর ইয়ার্ডে জমেছে কন্টেইনারের স্তূপ। গতকাল রোববার সকালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বন্দর ইয়ার্ডে পণ্যবাহী ও খালি মিলে মোট কন্টেইনারের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৬ হাজার ৩১৭ টিইইউস।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে বন্দর থেকে এক দিনে সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার টিইইউস কন্টেইনার ডেলিভারি হয়। কিন্তু ঈদুল আজহার আগে ও পরে পাঁচ দিনে মোট ডেলিভারি হয়েছে তিন হাজার ৫০২ টিইইউস। এর মধ্যে ঈদের আগের দিন মঙ্গলবার ২৮২ টিইইউস, ঈদের দিন ২৮২ টিইইউস, বৃহস্পতিবার ৬৭৬ টিইইউস, শুক্রবার ৯৪৪ টিইইউস ও শনিবার এক হাজার ৩১৮ টিইইউস কন্টেইনার ডেলিভারি হয়। গতকাল রোববার সকাল ৮টার পরিসংখ্যান অনুযায়ী বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে থাকা আমদানি, রফতানি ও খালি মিলে মোট কন্টেইনারের পরিমাণ ছিল ৪৬ হাজার ৩১৭ টিইইউস। এর মধ্যে কেবল আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনারই রয়েছে ৪৪ হাজার ৩০৪ টিইইউস।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারির সঙ্গে বন্দর, কাস্টমস, ব্যাংক, সিঅ্যান্ডএফ, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার, অফডকসহ বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতি প্রয়োজন। এর যেকোনো একটি সংস্থার অনুপস্থিতি ডেলিভারি কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এবারের ঈদের তিন দিনের ছুটি মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা পাঁচ দিনের লম্বা ছুটি কাটাতে চলে যায় অনেকেই। সরকারি নির্দেশনার কারণে বন্দর কাস্টমস ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হলেও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীই ছুটিতে চলে যান। বিশেষ করে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনুপস্থিতির কারণে এ সময় ডেলিভারি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। যে কারণে এই পাঁচ দিন ডেলিভারির পরিমাণ ছিল একেবারে কম। ঈদের ছুটি শেষে গতকাল রোববার থেকে খুলেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সে সঙ্গে বন্দরের ডেলিভারি কার্যক্রমও গতি পাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) মো. গোলাম সরওয়ার বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ঈদের দিন সকালে মাত্র আট ঘণ্টা বন্দরের অপারেশনাল কর্মকাণ্ড বন্ধ ছিল। এ ছাড়া ঈদের ছুটির পুরো সময়ই বন্দর চালু ছিল। এ সময় বিভিন্ন জাহাজ থেকে আমদানি পণ্য যথারীতি বন্দর ইয়ার্ডে খালাস হয়েছে। কিন্তু সে তুলনায় ডেলিভারি কম হওয়ায় বন্দরে কন্টেইনারের পরিমাণ বেড়ে গেছে। রোববার থেকে ডেলিভারির পরিমাণ বেড়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) সচিব রুহুল আমিন সিকদার জানান, প্রতিবছরই ঈদের ছুটিতে বন্দর থেকে কন্টেইনার ডেলিভারি হ্রাস পেয়ে থাকে। যে কারণে বন্দর ইয়ার্ডে কন্টেইনার জট সৃষ্টি হয়। তিনি জানান, ছুটির কারণে অফডকমুখী প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কন্টেইনার এখনো বন্দর ইয়ার্ডে পড়ে আছে। ইতোমধ্যে ছুটি শেষ হলেও বন্দরের কন্টেইনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে আরো এক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads