গৃহবধুকে পিটিয়ে দু’দিন ঘরে আটকে রাখলো স্বামী

স্বামীর পিটুনিতে আহত গৃহবধূ ময়না

ছবি : বাংলাদেশের খবর

অপরাধ

গৃহবধুকে পিটিয়ে দু’দিন ঘরে আটকে রাখলো স্বামী

  • গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮

নাটোরের গুরুদাসপুরে ময়না নামের চার সন্তানের জননীকে পিটিয়ে ঘরে আটক রাখার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি শনিবার দুপুরে ঘটে। দুইদিন পর খবর পেয়ে পুলিশ আজ সোমবার সকালে তাকে উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার শিধুলী মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে নুরুল ইসলামের সাথে ১৯ বছর আগে পোয়ারশুড়া দড়িপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর মেয়ে ময়না খাতুনের (৩৫) বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে মেহেদী হাসান (১৫) এবং তিন মেয়ে মিতা (১০), নদী (৩) ও নুরানী (১) রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই শাশুড়ি নুরজাহান, ননদ রিমা ও রিপা নানা অজুহাতে ময়নাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো।

একপর্যায়ে গত শনিবার সকালে সাংসারিক ব্যাপারে শাশুড়ির সাথে ঝগড়া হয় ময়নার। এ ঘটনায় স্বামী নুরুল ইসলাম দুপুরে বাড়িতে এসে বাঁশ দিয়ে তার স্ত্রী ময়নাকে বেধড়ক পেটায়। এতে ময়নার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয় এবং মাথা ফেটে যায়। ওই অবস্থাতেই আহত ময়নাকে তার ঘরে আটক রাখা হয়। খবর পেয়ে আজ সোমবার সকালে গুরুদাসপুর থানা পুলিশ আহত ময়নাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডা. রবিউল করিম শান্ত জানান, ময়নার কপালে ও মাথায় ৪টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তার শরীরে নির্যাতনের অনেক চিহ্নও রয়েছে। রক্তক্ষরণের কারণে তার অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। তবে ঘটনার দিন চিকিৎসা পেলে ময়না আশঙ্কামুক্ত থাকতো।

গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়ের করা হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads