মুক্তমত

করোনায় সম্মুখযোদ্ধা আমানত হোসেন খান

গাঁওগেরামে এক জনপ্রিয় নেতার গল্প

  • প্রকাশিত ৩ নভেম্বর, ২০২০

মন্জুরুল হক

 

 

 

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের পুণ্যভূমিতে করোনাকালীন সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে ভোর থেকে গভীর রাত অবদি স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপকরণ, খাদ্য ও বাসস্থানসহ গরিব-মেহনতি মানুষের পাশে রয়েছেন এক জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি কাপাসিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান। সম্প্রতি এই নেতাকে ঘিরে সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুক। করোনাকালীন লকডাউনের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবসেবায় কাজ করে গাঁওগোরামের সবার নজর কাড়েন তরুণ এই আওয়ামী লীগ নেতা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আশরাফুল আলম খোকন ফেসবুকে লিখেছেন, আমানত ভাই একসময় গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তখনো দেখতাম সাইকেল নিয়ে গ্রামে গ্রামে, স্কুলে স্কুলে ঘুরে বেড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রচার করার জন্য, ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে। ৯১/৯২-তে আমাকেও একটা স্কুল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বানিয়েছিলেন। আমরা বিভিন্ন আড্ডায় বলি, কাপাসিয়াতে এমন কোনো বাড়ি নাই, যে বাড়ির একজন মানুষকে আমানত হোসেন খান চেনেন না। অর্থাৎ প্রতিটি বাড়ির কাউকে না কাউকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। রাজনীতির বহু পথ অতিক্রম করেছেন। স্বৈরাচার বিএনপি-জামাতবিরোধী আন্দোলনে বহু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, মৃত্যুর মুখ থেকেও ফিরে এসেছেন। নিজ সংগঠনেও অনেক নিগ্রহের শিকার হয়েছেন। কখনোই বিপ্লবী-বিদ্রোহী, অভিমানি হননি, হাল ছেড়ে দেননি। সবসময় রাজনীতিতে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা তাকে সেই মূল্যায়নও করেছেন গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়ে। উপজেলার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান তিনি।

ফেসবুকে আমানত হোসেন খানকে নিয়ে প্রতিদিন লেখা ও মন্তব্যের ঘর বাঁধছেন সাধারণ মানুষ। তৃণমূল থেকে রাজনৈতিক কর্মী। কৈশোর থেকে শরীরের বিন্দু বিন্দু ঘাম ঝরিয়ে, মেধা ও মনন দিয়ে এখন চেয়ারম্যান। রাজনীতিতে ভোরের উদীয়মান কুসুমিত সূর্য। ফেসবুকে ফরহাদ হোসাইন লিখেছেন—কালবৈশাখি ঝড়ে ভেঙে যাওয়া দিগুলীর পাঁচ পরিবারের ঘর নির্মাণ করেন। রাজিব খান লিখেছেন—মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে মহান ব্যক্তিটাকে ধন্যবাদে ছোট করতে চাই না। এক গণমাধ্যমকর্মী লিখেছেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সবশ্রেণি-পেশার মানুষের জীবন-জীবিকার খবর রেখেছেন মেহনতি মানুষের কষ্টের ভাগ নেওয়ার ফেরিওয়ালা আমানত হোসেন খান। করোনাকালীন কর্মগুণে পর্বতসম সুনাম অর্জন করেছেন। সীমাহীন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বৃহত্তর স্বার্থে জনগণের কল্যাণে পক্ষপাতহীন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন। বাবু ফকির লিখেছেন, তাঁকে নিয়ে গর্বিত। কিডনী রোগী কমলা বেগমের পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্যালুট। স্থানীয় মানবতার ঘরের উদ্যোক্তা শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন জানান-শিক্ষার্থী, বিধবা নারীদের খাদ্য ও বস্ত্রসহ পাশে ছিলেন তিনি। আশরাফ উদ্দিন আসিফ লিখেছেন,সম্মুখ করোনাযোদ্ধা আমানত ভাই। কুমারপাড়ায় আগুনে পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিদেরকে নগদ অর্থ এবং নিম্নআয়ের চা-বিক্রেতাদের খাদ্য পৌঁছে দিয়েছেন। ইকবাল হোসেন জানান, অজপাড়াগাঁ কায়ারবাড়ী জামে মসজিদ করেছেন তিনি।

তাছাড়া কোভিড মোকাবিলায় কাপাসিয়ায় ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম ডাটা-এন্ট্রি চালুসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পিপিই, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে ক্রসবিড গরু, ক্ষুদ্র ডেইরি খামারিদের সহযোগিতা, মৎস্যচাষীদের পোনামাছ, কৃষককে বীজ, চারা, স্যানিটাইজার স্প্রে, ওষুধ, বয়স্কদের ও বিধবাদের ভাতা দিয়েছেন। নজিরবিহীন ত্রিশ বছরের বিরোধও মিটিয়েছেন । তিনিও হতে পারেন কাপাসিয়ার রোলমডেল। এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে বলা হয়, কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশে উপজেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। জানা যায়, এই অবদান বঙ্গতাজ-কন্যা স্থানীয় সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এমপির এবং এটা এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

 

লেখক : শিক্ষক ও সাংবাদিক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads