স্বাস্থ্য

গর্ভাবস্থায় আরামদায়ক পোশাক

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

পরিবেশ, বয়স, উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী পোশাক গর্ভাবস্থাকে করে তুলবে যথেষ্ট আরামদায়ক। গর্ভাবস্থায় সন্তান জন্মদানের সময় যতটা এগিয়ে আসে, ততটাই দেহের ওজন বাড়তে থাকে। গর্ভাবস্থা বুঝে পোশাক নির্বাচন করলে অনেক শারীরিক অস্বস্তি দূর করা সম্ভব। আজকাল বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে ‘প্রেগন্যান্সি ড্রেস’ পাওয়া যায়। অর্থাৎ গর্ভবতী মায়েদের জন্য ঢিলেঢালা কামিজ, পায়জামা, ম্যাক্সি, ফতুয়া, টপস পাওয়া যায়। এ ধরনের পোশাক পরুন। কিনতে না পারলে সুতি কাপড়ের ঢিলা পোশাক বানান। একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, গর্ভাবস্থায় দেহের গড়ন পরিবর্তন হয়ে যায়। ওজন অনেক বেড়ে যায়। তাই পেটে যাতে চাপ না লাগে, এমন পোশাক পরুন। যারা প্রতিষ্ঠানের পোশাকে ফুলপ্যান্ট বা জিন্সের পোশাক পরেন, তারা অতিরিক্ত টাইট বেল্ট ব্যবহার করবেন না। কিছু পোশাক আলাদা করে ফেলতে হবে গর্ভাবস্থার জন্য, আর কিছু পোশাক রাখতে হবে নবজাতককে খাওয়ানোর জন্য।

পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুরু থেকেই যথেষ্ট মনোযোগী হোন। গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে অনেকেরই প্রচুর পরিমাণে বমি হয়। এ সময় যতটা সম্ভব ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। সুতি কাপড় হলে সবচেয়ে ভালো। এ সময় পেট তেমন বড় হয় না। তাই উপযোগী সালোয়ার কামিজ, বাসায় ঢিলেঢালা জামা বা ম্যাক্সি পরতে পারেন। খেয়াল রাখবেন যেন ঘামে ভেজা জামা বা পোশাক পরতে না হয়। এতে দেহে বাসা বাঁধবে নানান ধরনের রোগ-জীবাণু, যা দ্রুত আক্রমণ করবে শরীরকে বা গর্ভস্থ শিশুকে। টেট্রন, নিলেন, জর্জেট, সিল্ক, কাতান, রেশম কাপড় যতটা বেশি পরিহার করা যায়, ততটাই ভালো। সুতি কাপড় ত্বককে দেবে আরাম। আর সেই সঙ্গে এই কাপড়ে ঘামের পরিমাণও কমে যাবে। তাই এ সময় সুতিই হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট পোশাক।

বাসার বাইরে কর্মজীবী না হলে সুবিধামতো পোশাক পরিধান ও পরিবর্তন করুন। গরম বা ধুলাবালি থেকে রক্ষার জন্য সবসময় পরিষ্কার ও আরামদায়ক পোশাক পরুন। যাদের নিয়মিত রিকশা, বাস বা ব্যক্তিগত গাড়িতে যাওয়া-আসা করতে হয়, রাস্তার জ্যামে দীর্ঘসময় বসে থাকলে কোমরে ব্যথা হতে পারে। এজন্য ব্যবহার করুন অ্যাবডোমিনাল বেল্ট, যা ব্যবহার করতে হয় গর্ভাবস্থার পরে, পেটের আকার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু ডেলিভারির আগেই ব্যবহার করতে পারেন, যাদের প্রচুর পরিমাণে বাসার বাইরে ভ্রমণ করতে হয়। অ্যাবডোমিনাল বেল্ট বা বাইন্ডার ব্যবহার করলে পেট নড়াচড়া করবে কম। তখন ব্যথা কম লাগবে। দেহের ওজন ও পেটের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পেট নিচের দিকে ঝুলে পড়ে। তখন জোরে ঝাঁকুনি লাগলেই ব্যথা হয়। তাই বাইন্ডার জার্নির সময় পরতে পারেন, সব সময়ের জন্য নয়।

পোশাক আরামদায়ক হলে মন ভালো থাকবে। সুস্থ সবল শিশু জন্মানোর জন্য মন ভালো রাখাটা ভীষণ জরুরি।

 

লেখক : মেডিকেল অফিসার, গাইনি অ্যান্ড অবস

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads