সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির লাশ কোথায় আছে তা জানতে চেয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা। এছাড়া সাক্ষ্য-প্রমাণসহ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের হত্যা তদন্তে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটির প্রধান মিশেল ব্যাচলেট। এদিকে খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত কি না তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবরাজ ক্ষমতা হারাতে পারেন বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। খবর বিবিসি ও সিএনএন।
ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে খাশোগি হত্যার ঘটনাকে নির্মম ও জঘন্য অপরাধ হিসেবে অভিহিত করে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, তদন্তে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ জরুরি। রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে স্বাধীনভাবে তাদেরকে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে দিতে হবে। লাশ কোথায় আছে তা জনসম্মুখে আনতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষমতা হারাতে বসেছেন সৌদি যুবরাজ। দীর্ঘদিন ব্রিটেনে স্বেচ্ছা-নির্বাসন কাটিয়ে গত মঙ্গলবার সৌদিতে ফিরেছেন যুবরাজের চাচা আহমেদ বিন আবদুল আজিজ (৭৫)।
রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ এই সদস্যের প্রত্যাবর্তন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তিনি যুবরাজ মোহাম্মদের জায়গা নিতে পারেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যদিও সৌদি বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজের ছোট ভাইয়ের প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে সৌদি কর্তৃপক্ষ সরকারিভাবে কিছু জানায়নি। কী শর্তে তিনি ফিরেছেন তাও স্পষ্ট নয়। যুবরাজ মোহাম্মদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক চলছে সর্বত্র।
উল্লেখ্য, গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে ঢোকার পর নিখোঁজ হন খাশোগি। প্রথমে অস্বীকার করলেও এ ঘটনার দুই সপ্তাহ পর সৌদি আরব স্বীকার করতে বাধ্য হয় যে খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। প্রথমে জানায়, কনস্যুলেটের ভেতরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে খাশোগি নিহত হয়েছেন। এরপর এই হত্যাকাণ্ডকে ভুল বলে স্বীকার করে রিয়াদ। তবে শুরু থেকেই এ হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ মোহাম্মদ জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।