জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানো ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে এবং তার মুক্তির দাবিতে আজ সারা দেশে অনশনে বসেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই প্রতীকী অনশন চলবে বলে জানিয়েছে বিএনপি।
রাজধানীর গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে অনশনে বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তি হলেই দেশের মানুষ ভোটাধিকার ফিরে পাবে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ অনশন কর্মসূচি বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে।
কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আতাউর রহমান ঢালী, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, যে মামলাগুলোতে বেগম খালেদা জিয়াকে শাস্তি দেয়া হয়েছে সেগুলোর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই, সাক্ষ্য প্রমাণ ছিল না। তারপরেও সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার প্রতিফলন ঘটিয়ে এ রায়ের মাধ্যমে তাকে সাজা দেয়া হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং গণতন্ত্র আজ এক সূত্রে গাঁথা হয়ে গেছে। দেশে ভোটের অধিকার ফিরে আসার সঙ্গে বেগম জিয়ার মুক্তি সম্পর্কিত।
এরই মধ্যে হাজারো বিএনপি নেতাকর্মীর স্লোগানে মুখর মহানগর নাট্যমঞ্চ ও এর আশপাশের এলাকা। নেতাকর্মীরা ‘বন্দি আছে আমার মা, ঘরে ফিরে যাব না’, ‘হামলা করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’ স্লোগান দিচ্ছেন। গণঅনশনে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের হাতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিসংবলিত ফেস্টুনও দেখা যায়। রয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানযুক্ত ব্যানারও।
গত মঙ্গলবার হাইকোর্ট বিভাগ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতের দেওয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বাড়িয়ে ১০ বছর করে।
এর আগের দিন সোমবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
এসবের মধ্যেই গতকাল বুধবার আবার বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একটি রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন করা কেন অবৈধ হবে না, সে বিষয়ে রুল জারি করা হয়েছে।