একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে (ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭) বিএনপির প্রার্থী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলের শুনানি স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
আজ শনিবার নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানি শেষে বিকেলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বিকেল পাঁচটায় সিদ্ধান্ত দেয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ভবনের ১১তলায় স্থাপিত এজলাসের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে শনিবার অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও আপিলের শুনানি করেন।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে বগুড়া-৬, বগুড়া-৭ ও ফেনী-১ আসনে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। তবে তিনটি আসনেই তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পরবর্তীতে তার প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হয়।
খালেদা জিয়া দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় গত ২ ডিসেম্বর তার সবকটি মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছর এবং জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৭ বছরের দণ্ড নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বিএনপি নেতারা আশা করছিলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে তিনি ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। সে অনুযায়ী ফেনী ও বগুড়ার তিনটি আসনে তাকে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়া হয়।
কিন্তু গত সপ্তাহে হাই কোর্টে এক মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা হলে সেই সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপিলে ওই সাজা বাতিল বা স্থগিত হয়।
আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহার আর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১০ ডিসেম্বর। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।