নিজ আওতাভুক্ত এলাকায় পশু কোরবানির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। গতকাল রোববার রাজধানীতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের জন্য এটি একটি ‘চ্যালেঞ্জ’।
খোকন বলেন, ‘আমরা গত তিন বছর কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করেছি। আপনাদের সহায়তায় এবারো আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করতে পারব।’ এবার ডিএসসিসি এলাকায় ৬০২টি স্থানে নির্ধারিত স্থানে পশু জবাই করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র খোকন। তিনি বলেন, ‘তাহলে বর্জ্য অপসারণ করা সহজ হবে।’
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে ২২ আগস্ট। এই ধর্মীয় উৎসবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় ঈদের নামাজ পড়ে পশু কোরবানি দেওয়া হয়। পরিবেশ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সরকার বেশ কয়েক বছর ধরে রাজধানীতে পশু জবাই ও মাংস প্রক্রিয়া করার জন্য স্থান নির্ধারণ করে দিয়ে এলেও সেখানে যাওয়ার আগ্রহ তেমন দেখা যায় না। সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর কোরবানির ঈদে রাজধানীতে মোট ২২ হাজার টন পশুর বর্জ্য জমেছিল। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৯০ শতাংশ বর্জ্য পরিষ্কার করা হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল করপোরেশনের পক্ষ থেকে।
মেয়র জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ডিএসসিসির ৫ হাজার ২০০ পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবার মাঠে থাকবেন। গতবারের মতো এবারো ডিএসসিসি এলাকায় প্রায় দুই লাখ ব্যাগ সরবরাহ করা হবে। নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘আপনাদের কাছে এসব ব্যাগ পৌঁছে দেওয়া হবে। কেউ না পেলে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে বা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে যোগাযোগ করবেন।’ বৃষ্টির পানি জমে থাকে এমন জায়গায় পশু জবাই না করার পরামর্শ দিয়ে মেয়র বলেন, ‘পানি জমে থাকা জায়গায় কোরবানি করলে পানিতে রক্ত এবং ময়লা আবর্জনা জমে পরিবেশ নষ্ট করে; দেখতেও খুব খারাপ লাগে।’ সভায় অন্যদের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শেখ সালাহ উদ্দিন বক্তব্য দেন।