প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সুনির্দিষ্ট কোন ঘোষণা না পাওয়া পর্যন্ত কোটা সংস্কারের আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষনা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।
সেখানে তারা আরও তিনটি দাবির কথা তুলে ধরেন। দাবি হিসেবে তারা আটককৃত ব্যক্তিদের মুক্তি, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ঘোষণার কথা বলেন।
সোমবার কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় স্তিমিত হয়ে যাওয়া আন্দোলন আবারো স্বরুপে ফিরে আসে । মঙ্গলবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাজেটের আগে কোটা পদ্ধতি সংস্কার সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করলে আন্দোলনকারীরা এই দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে এই সমস্যার দ্রুত কোন সমাধান না হলে দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলনের ঘোষনা দেন।
সকালে এক সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারীরা বিকেল পাঁচটার মধ্যে কোটা সংস্কার নিয়ে জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের কথায় সাড়া দেননি কৃষিমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিকেলে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংসদে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সুযোগ পাবে না, রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে? তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংকুচিত হবে?’ তিনি বলেন, ‘রাজধানীকেন্দ্রিক একটি এলিট শ্রেণি তৈরির চক্রান্ত চলছে। তারই মহড়া গতকাল (রোববার) আমরা দেখলাম।’
সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন শেষে আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসে একটি মিছিল বের করে। এতে কয়েক হাজার আন্দোলনকারী অংশ নেন।