বিশ্বব্যপী চলমান করোনাভাইরাস আতঙ্কে ঝুঁকিমুক্ত নয় আপনার স্মার্টফোনটিও। স্মার্টফোনটিও বহন করতে পারে এই ভাইরাস। সংক্রমিত হতে পারেন আপনি। তাই নিরাপদ থাকতে আপনার ফোনটি স্যানিটাইজার করা প্রয়েজন। কিন্তু পানিতে নষ্ট হতে পারে আপনার সখের ফোনটি। তাই যারা এই করোনা সঙ্কটের মাঝেও নতুন ফোন কেনার পরিকল্পনা করছেন তাদের জন্যে রয়েছে কিছু 'ওয়াটার প্রুফ' ফোনের খবর।
স্যামসাং গ্যালাক্সি এস১০ ও এস১০ প্লাস
প্রথমটি ৬.১ এবং পরেরটি ৬.৪ ইঞ্চি ডাইনামিক অ্যামোলেড টাচস্ক্রিনের এস১০ সিরিজ ফোনগুলো পানিপ্রতিরোধী। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন চিপসেট এবং র্যাম নিয়ে বাজারে এসেছে দুটি মডেল। চাইলেই এদের ধুয়ে নিতে পারেন। নির্দিষ্ট পরিমাণ পানির নিচে বেশ কিছু সময় এগুলো দিব্যি ভালো থাকে। সাধারণ বৃষ্টির পানি কিংবা ট্যাপের পানিতে চটজলদি ধুয়ে ফেললে কিছুই হবে না। আইপি৬৮ ডাস্ট/ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স ফোনটি দেড় মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট ভালো থাকবে।
হুয়াউই পি৩০ প্রো
এর পর্দা ৬.৪৭ ইঞ্চি। ১২৮জিবি অভ্যন্তরীন স্টোরেজের ফোনটির র্যাম ৮জিবি। শক্তিশালী ব্যাটারির এই ফোনে দেওয়া হয়েছে হাইসিলিকন কিরিন ৯৮০ চিপসেট। ক্যামেরা ৪০ মেগাপিক্সেল। এর রয়েছে আইপি৬৮ ডাস্ট/ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স। ফোনটি ২ মিনটার পানির নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত ভালো থাকবে।
স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৯
৬.৪ ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড টাচস্ক্রিনের ফোনটি পানিপ্রতিরোধী। ১২৮জিবি অভ্যন্তরীন স্টোরেজে মিলবে ৬জিবি র্যাম। আইপি৬৮ ডাস্ট/ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স ফোনটি দেড় মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট ভালো থাকবে।
আইফোন এক্সআর
আইফোনের বেশ কয়েকটি মডেল পানিপ্রতিরোধী। এক্সআর ছাড়াও আইফোন১১ সিরিজের ফোনগুলো একই কাতারে পড়ে। যেমন আইফোন এক্সআর মডেলের রয়েছে আইপি৬৭ ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স সার্টিফিকেট।
সনি এক্সপেরিয়া ১
৬.৫ ইঞ্চি ৪কে ওলেড পর্দার ফোনটি পানিপ্রতিরোধী। আইপি ৬৫/৬৮ ওয়াটার রেজিস্ট্যান্স ফোনে দেওয়া হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৬। কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৬৫ চিপসেটের ফোনটি আইপি ৬৫/৬৮ ডাস্ট/ওয়াটার রেজিস্ট্যান্সসম্পন্ন। এটি দেড় মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট ভালো থাকবে।
পিক্সেল ৩এ এক্সএল
৬ ইঞ্চির ওলেড টাচস্ক্রিন রয়েছে এতে। নিরাপত্তার জন্যে দেওয়া হয়েছে আশাহি ড্রাগনট্রেইল গ্লাস। এটি আইপিএক্স৮ সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত পানিপ্রতিরোধী ফোন।