করের আওতায় ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব

আয়ের ৩৫ শতাংশ উৎসে করের আওতায় ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

করের আওতায় ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৮ জুন, ২০১৮

দেশে ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের আয়ের ৩৫ শতাংশ উৎসে কর দিতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এই তথ্য জানান।

মুহিত তার বাজেট বক্তৃতায় বলেন, অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন এবং ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের কারণে আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের ধরন ও আকারে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের অর্থনীতি এখন অনেক বেশি উন্মুক্ত। ফলে কর পরিহারের ঝুঁকিও বেশ বেড়েছে।

তিনি বলেন, ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রচুর আয় করছে, কিন্তু তাদের কাছ থেকে আমরা তেমন একটা কর পাচ্ছি না। ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের বিষয়টি তুলনামূলক নতুন বিধায় এসব লেনদেনকে করের আওতায় আনার মতো পর্যাপ্ত বিধান এতদিন আমাদের কর আইনে ছিল না। ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল খাত যেমন- ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব ইত্যাদির বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের ওপর করারোপের জন্য আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার আলোকে প্রয়োজনীয় আইনি বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করা হলো।

এ ছাড়া কর ব্যবস্থাকে আধুনিক ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক করার অনেক উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে এই অর্থবছর হতে করদাতাকে ই-মেইলে নোটিস প্রেরণের বিধান কর আইনে সংযোজন করার প্রস্তাব করা হয়।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব সার্চ ইঞ্জিন গুগলকে করের আওতায় আনা হবে।

সে সময় সংবাদপত্র শিল্প মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। সেই আলোচনা সভায় নোয়াবের সভাপতি ও দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, বিশ্বে সংবাদপত্র পুরনো শিল্প। টেলিভিশন, অনলাইন, ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলের কারণে পাঠক হারাচ্ছে সংবাদপত্র। ফলে এ শিল্পের বিজ্ঞাপন থেকে আয় কমছে। বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে ৮-১০ শতাংশ হারে সংবাদপত্রের পাঠক কমছে। সরকারি এবং ব্যক্তিপর্যায়ের বিজ্ঞাপন থেকেও সংবাদপত্রের আয় কমে যাচ্ছে। এর ওপর নতুন উপদ্রব হিসেবে দেখা দিয়েছে ফেসবুক-ইউটিউবে বিজ্ঞাপন প্রচার। ফেসবুক-ইউটিউবে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। এ ব্যাপারে এনবিআর চেয়ারম্যান তখন বলেন, বাজেটে এর প্রতিফলন থাকবে। ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলকে অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন তাদের করের আওতায় আনা হবে। অবশেষে এনবিআর চেয়ারম্যানের সেই আশ্বাসই বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads