কক্সবাজারে টিসিবির ১৯ ডিলারের ১৮ জনই অকার্যকর

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)

সংরক্ষিত ছবি

পণ্যবাজার

কক্সবাজারে টিসিবির ১৯ ডিলারের ১৮ জনই অকার্যকর

  • মাহাবুবুর রহমান, কক্সবাজার
  • প্রকাশিত ২৪ মে, ২০১৮

ডিলারদের অবহেলা এবং সরকারি নির্দেশনা না মানায় কক্সবাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রির সুফল পাচ্ছেন না দরিদ্ররা। সরকার ২০০৯ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে কক্সবাজার জেলায় ১৯ জন ডিলার নিয়োগ দেয়। সরকারের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে সক্ষম- এমন লোককে বিবেচনায় এনে টিসিবির ডিলার নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তী বছর দুয়েক এই ডিলাররা সরকারের আস্থার প্রতিদান দিলেও বর্তমানে নানা কারণে তারা টিসিবির পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে।

রমজান মাসে সরকার দরিদ্র অসহায় মানুষের সুবিধার্থে স্বল্পমূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক সদরের পিএমখালীর বাংলাবাজার মেসার্স কাদের এন্টারপ্রাইজ ডিলারের দোকানে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। মূলত জেলায় টিসিবির কার্যক্রম পরিচালনা করে একমাত্র এই কাদের এন্টারপ্রাইজ। জেলায় ১৯ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হলেও কার্যক্রম চলছে একটি মাত্র দোকানে। ডিলারদের সবাই দলীয় নেতাকর্মী ও ডাকসাইটে নেতা হওয়ায় সরকারি নির্দেশনা মানছেন না অনেক ডিলার। একাধিকবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পণ্য বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হলেও অদ্যাবধি কার্যকর হয়নি। এতে টিসিবির কার্যক্রমের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

জেলার একমাত্র কার্যকর ডিলার সদরের আবদুল কাদের জানান, টিসিবির পণ্যের পর্যাপ্ত চাহিদা রয়েছে। সাধারণ ক্রেতারা প্রতিদিন দোকানে পণ্যের জন্য আসছেন, কিন্তু তাদের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ৭০০ কেজি করে ছোলা ও চিনি, ৩০০ কেজি মশুর ডাল, ৫০০ লিটার সয়াবিন তেল তিনি ক্রেতাদের সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করেছেন।

এদিকে টিসিবির পণ্য মানসম্পন্ন নয়; এ অজুহাতে ডিলাররা পণ্য বাজারে আনছে না- এমন অভিযোগ মানতে নারাজ ডিলার আবদুল কাদের। ৪ বছর আগে নিম্নমানের সয়াবিন তেল দিয়েছিল টিসিবি। কিন্তু এখনকার পণ্যগুলো খুবই মানসম্পন্ন। সুতরাং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প শুধু ডিলারদের অবহেলার কারণে ভেস্তে যেতে বসেছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন প্রিন্স জানান, টিসিবির পণ্য বিক্রি সচল রাখতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে ডিলারদের। তবু যারা অবহেলা করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর থাকবে।

১৮ ডিলারের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর এনডিসি (ভারপ্রাপ্ত) একেএম লুৎফর রহমান বলেন, টিসিবির খুবই দরকারি একটি কর্মসূচি। এটি কার্যকর করার জন্য গত ৭ মে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে যেসব ডিলার টিসিবির পণ্য বিক্রি করছেন না তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তিনি বলেন, তাদের লাইসেন্স বাতিলের জন্য শিগগিরই চিঠি দেওয়া হবে। হয়তো চলতি মাসের মধ্যে তাদের লাইসেন্স বাতিল করে নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads